নারায়ণগঞ্জ বন্দরে ঘুমন্ত অবস্থায় স্বামী শাকিল বেপাড়ি ওরফে জুনিয়র সাকিবের গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অপরাধে স্ত্রী শিখা খান নামে এক টিকটকারকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
রবিবার (১৪ জুলাই ) সকালে নারায়ণগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নূর মহসিন এর আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে শাকিল বেপাড়ির গোপনাঙ্গ কেটে ফেলার অপরাধে
আসামী স্ত্রী শিখা খানকে এক দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত জিআরপি পুলিশ কর্মকর্তা এএসআই সাথী জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আসামীকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আসামী শিখা খানকে এক দিন পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ প্রদান করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামী শিখা খান( ৩০) বন্দর উপজেলার কলাগাছিয়া ইউনিয়নের কান্দিরপাড় এলাকার জুম্মন খানের মেয়ে।
উল্লেখ্য, আহত স্বামীর নাম সাকিব খান(২৬)। তিনি মাদারীপুর জেলার বাজিতপুর এলাকার মিন্টু বেপারীর ছেলে ও টিকটকার হিসেবে পরিচিত ছিল। তিন বছর পূর্বে বিবাহ হয়। সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুক, টিকটক ও ইউটিউবে ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করেন। প্রায় সময় তাদের দুজনের মধ্যে ঝগড়া ও মারামারি হতো। কয়েকবার স্থানীয়রা তাদের মীমাংসা করে দিয়েছেন। সাকিব ও শিখার একাধিক বিয়ে হয়েছে।
পুলিশ এজহার সূত্রে জানাযায়, নিয়মিত ভাবে খাওয়াদাওয়া শেষে ঘুমিয়ে পরে। ৯ জুলাই ভোরে সাকিব খান ঘুম থাকা অবস্থায় হত্যার উদ্দেশ্যে আসামীর হাতে থাকা ব্লেড তিয়ে তার স্বামীর পুরুষঙ্গ কেটে ফেলে পালিয়ে যায়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাকিবকে সঙ্গে সঙ্গে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাকিবকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়।
সেখানে আলোচিত টিকটকার সাকিবকে রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানার ওপর পাওয়া যায়। গোপনাঙ্গ কেটে ফেলায় প্রচুর রক্তপাত হচ্ছিল। কেটে ফেলা গোপনাঙ্গের অংশ শিখার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে সাকিবকে সঙ্গে সঙ্গে বন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে সাকিবকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য আনা হয়েছে। এখানে তার সার্জারি চলছে।এই ঘটনার আসামি জড়িত থাকার পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়।
সূত্রে আরোও জানা যায়, সাকিব ও তার স্ত্রী শিখা দুজনই মাদকাসক্ত। আহত সাকিবের তথ্য মতে, শিখা তার স্বামীকে মধ্য রাতের কোনো এক সময় বিয়ারের সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাইয়ে দেন। ঘুমিয়ে পড়লে ভোরের কোনো এক সময় তার গোপনাঙ্গ কেটে ফেলেন শিখা।
এবিষয়ে আহত সাকিবের মা বন্দর থানা একটি মামলা দায়ের করিলে টিকটকার শিখা খানকে গ্রেফতার করা হয়।