ফতুল্লায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে সুজন খাঁন নামে এক শারীরিক প্রতিবন্ধী যুবকসহ নিহত সকল শহীদদের স্মরণে মিলাদ দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরন করেছেন এলালাবাসি।
গত মঙ্গলবার(৬ জুলাই) বাদ যোহর জালকুড়ি যুব
যুব উন্নয়ন সংলগ্ন পশ্চিম পাড়া মাদ্রাসা জিরোপয়েন্টে রাব্বানী নগর এলাকায় এলাকাবাসির পক্ষ থেকে এই মিলাদ-দোয়া ও রান্না করা খাবার বিতরন করা হয়।
এলাকাবাসী সুজনকে সরকারী ভাবে শহীদি মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্র সহ সাধারন মানুষ নিহত হয়েছেন সকল শহীদদের রুহের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে দোয়া পড়ানোো হয়।
এসময় এলাকাবাসী জানান, গত ১৯ জুলাই বিকেলে ছাত্র আন্দোলনে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে স্বৈরচার আওয়ামী সন্ত্রাসী বাহিনীর এলোপাথালী গুলিতে নিহত হন শাররীক প্রতিবন্ধী সুজন খাঁন। সেইদিন বুদ্ধী প্রতিবন্ধী যুবক ঢাকা- নারায়ণগঞ্জ লিংরোড সড়ক পারাপর হতে গিয়ে গুলিবৃদ্ব হন। সরকারি ভাবে সুজন প্রতিবনধী ভাতা পেত। সে বুদ্ধী প্রতিবন্ধী হলেও এলাকায় ছেলে হিসেবে ভালো ছিলেন। একজন প্রতিবন্দ্ধী তো কোন আন্দোলনে যায়নি।
তারা আরোও বলেন, এলাকার বাসীন্দা মনজিল খানের ছেলে সুজন খাঁনন(৩০)। তিনি স্বাভাবিক ভাবে চলাফেরা করতেন। আজকে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হলেন তিনি। বর্তমানে যারা দেশের দায়ত্বে আছেন বা ভবিষ্যতে যারা সরকার পরিচালনায় আসবেন তারা যেন সুজন খাঁনের পরিবারের প্রতি সুদৃষ্টি দেন সেই দাবি জানাচ্ছি। এবং সরকারকে আহ্বান যানাব সুজনকে সরকারী ভাবে শহীদি মর্যাদা যেন দেওয়া হয়। সেইসাথে সুষ্ঠ তদন্তের মধ্য দিয়ে সন্ত্রাসীদে সর্বচ্চ শাস্তিদাবি জানাচ্ছি।
কান্না জড়িত অবস্থায় সুজনের মা নূর জাহান বলেন, আমার ছেলে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী হলেও সে স্বাভাবীক চলাচল করত। আমি ভাবতে পারিনা আমার ছেলে এতো তারাতাড়ি চলে যাবে। আমরার ছেলে যেমনই হউক ওতো আমার ছেলে। আমার বোক যারা খালি করেছে তাদের বিচার দাবি জানাচ্ছি।
এসময়, এস এম মোস্তাফিজুর রহমান, মো.সেলিম, মো.বাবুল মিয়া সরকার, মো.হায়দার সনি, মো. আলী হোসেন, মো.নাজিম, নাজমুল শরিফ, সোহাগ আলী, ইব্রাহিম, আমির হোসেন, খলিলুর রহমান, রোস্তম আলী, জাফর,নিহত সুজনের ভাইসহ স্থানীয় গন্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ।