ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়ে হত্যার অভিযোগে স্বৈরাশাসক শেখ হাসিনাসহ তার খুনি দোসরদের বিচারের দাবিতে দু’দিনের কর্মসূচি দ্বিতীয় দিনেও শহরে অবস্থান কর্মসূচিতে মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দরা।
বৃহস্পতিবার ( ১৫ আগষ্ট ) বিকালে চাষাড়া ডনচেম্বার রোড ও নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানার ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু নেতৃত্বে বিশাল মিছিল নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করা হয়।
দ্বিতীয় দিনে অবস্থান কর্মসূচি নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন এর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনা করা হয়।
এসময় সকালের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক শাখাওয়াত ইসলাম রানার বলেন, যে খানে ফুল দেওয়া হয়েছে সেটা কার এলাকা! সেটা কোন নেতার এলাকা পড়েছে! সেই নেতাকে তার দায়ভার নিতে হবে। সে হউক আমার মামা, চাচা,ভাই বা আমি সহ যেই হউক সেটা দেখার বিষয় না। সে বিএনপির যত বড় নেতা হউক তার দায়ভার নিতে হবে। বর্তমানে যারা দেশ পরিচালনা করছেন তাদের দৃষ্টিগোচর করতে চাই সেইসব লোক নৌকা মার্কা আরর্মিকে আমরা দেখতে চাই না।
তিনি আরোও বলেন, ভোট চোর শেখ হাসিনার যত গুলা নির্বাচন হয়েছে কোন নির্বাচন গ্রহণ যোগ্যতা পায় নাই। অনেক রাজনৈতীক দল নির্বাচনে যেতে পারে নাই। সংবিধানে গ্রহণযোগ্যতা থাকতে পারে না। সেখানে জেলা প্রশাসকের নিয়োগের দাবি জানাই এবং সিটি করর্পোরেশনে প্রশাসকের নিয়োগের দাবি জানাই। আপনি যে অনৈতিক কাজ করেছেন সেইটার জন্য একবারও তো বাচ্চাদের জন্য কাঁদলেন না। সে বাচ্চাদের প্রতি সহানুভূতি দেখালেন না।
মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে বলেন এখন চোখের পানি উৎলায়া পড়ছে। আপনারা তো এক বারের জন্য হাসপাতালে গিয়ে, নিহতের জানাযায় বা তার পরিবারের খোজ-খবর নেন নাই। এখন পিতার জন্য দোয়া করতাছেন ফুল দিচ্ছেন। কিন্তু সন্তানের জন্যওতো দোয়া করতে হবে। আপনাকে আর ছাড় দেওয়া হবে না। আপনার টাকায় এ শহরে অনেকেই কোটিপতি হয়েছে। সাধারণ জনগণের ভাগ্যের পরিবর্তণ হয় নাইর। এসমস্ত চুরিতে আপনিও জড়িত আছেন। আপনি ভূলে যাবেন না এটা গণতন্ত্রের রাষ্ট্রো তাই গণতন্ত্র ভাবে চলতে হবে। আপনার এতো দয়া কাঁন্না যদি থাকে তাহলে আপনার বাড়ির ভিতরে গিয়ে দেন। যে সকল বিএনপির নেতারা আছেন তাদের জন্য দয়া কাঁন্না দেখাবেন তাহলে জনসভা কর্মীরা কিন্তু আপনাদের ছাড় দিবেনা।
সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু বলেন, আজকে ৫০ বছরের উপরে হয়েছে মরেছে তার জন্য এতো দয়া মমায়া। সাধারণ মানুষ ও ছাত্র জনতা গুলি খেয়ে মরলো তাদের জন্য এতো দয়া মায়া নেই। নারায়ণগঞ্জে তাদের এমন অনুষ্ঠান কোন দিন যাতে না করতে পারে বিএনপির নেতা কর্মীরা রুখেধারাবে। কোথায় গেল আপনাদের মা আপনাদের রেখে পালিয়েছে। স্বৈরাশাসকের সময় কত জুলুম নির্যাতন করেছেন কেহ কিছু বলতে পারে নাই। মাটির পুতুল ভানিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যায় করেছেন কই একটি বারও সাধারণ জনগণের কথা চিন্তা করেন নাই। আমরা স্বৈরাচার সরকারের সকল অপকর্মের বিচার দাবি করছি।
এসময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন মির্জা জনি,যুগ্ম-আহ্বায়কমোঃ সাহেব উল্লাহ রোমান,মোঃ হামিদুর রহমান সুমন,মোঃ দুলাল হোসেন,মোঃ শাহিন আহম্মেদ,মোঃ মাহাদী হাসান মিঠু, রাকিব আহমেদ ডালিম প্রধান, ভিপি নজরুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল করিম,মোঃ শাকিল আহমেদ,আক্তার হোসেন,মোঃ রাইয়ান হক,দপ্তরের দায়িত্বে আমান শিকদার, সহ -দপ্তরের দায়িত্বে হাসানুজ্জামান লিমন, শরিফুর রহমান,সিদ্ধিরগঞ্জ থানা রেদোয়ান আহম্মেদ পাপ্পু, হাবিবুর রহমান হাবিব, সেলিম, সদর থানা মিঠু, হাবুল, মিন্টু, ১৮ নং ওয়ার্ডর নূজাজামান, আব্দুল্লাহ, বাবু, রিয়ান, সুমন প্রমুখ।