ছাত্রজনতার উপর গুলি চালিয়ে গণহত্যাকারী খুনি হাসিনা সহ তার দোসরদের বিচারের দাবীতে দ্বিতীয় দিনেও অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে মহানগর বিএনপি।
বৃহস্পতিবার (১৫ আগষ্ট) বিকেলে নগরীর হোসিয়ারী সমিতির সামনের সড়কে এ অবস্থান কর্মসূচী পালন করা হয়।
মহানগর বিএনপির আহবায়ক এ্যাড. সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ফতেহ রেজা রিপন, আনোয়ার হোসেন আনু, এড. রফিক, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, সাধারণ সম্পাদক এড. আনোয়ার প্রধান, মহানগর বিএনপির সদস্য ডাঃ মুজিবুর রহমান,
বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ, জেলা মহিলা দলের সভানেত্রী রহিমা শরিফ মায়া, মহানগরের সভানেত্রী দিলারা মাসুদ ময়না, যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা, সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবু,মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, যুগ্ম-আহবায়ক সাগর প্রধান, শ্রমিক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক আশিক মাহমুদ, ওলামা দলের সভাপতি হাফেজ মামুন সহ বিভিন্ন ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে আগত নেতৃবৃন্দ।
সদস্য সচিব এ্যাড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, শহীদ জিয়ার স্বাধীন বাংলাদেশ আমরা কোন ষড়যন্ত্রকারীর হাতে তুলে দিতে পারিনা। দীর্ঘ ১৬টি বছর তারেক রহমানের নেতৃত্বে রাজপথে ছিলাম। গত ৫ আগষ্ট কোটা আন্দোলন শুরু হয় তখন আমাদেরকে রাজপথে থাকার নির্দেশ দেয়া হয়। আমরা খুনি, সন্ত্রাসী হাসিনাকে বলতে চাই, আমরা শান্ত আছি আমাদেরকে শান্ত থাকতে দেন। দেশের ও নারায়ণগঞ্জের মানুষকে শান্তিতে ঘুমাতে দিন। পাশ্ববর্তী দেশ থেকে অশান্তি সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন না। হিন্দু, মুসলিমদের মাঝে দাঙ্গা লাগানোর চেস্টা করবেন না। আপনি যা ভাবছেন বাংলাদেশে আর সেটা হবেনা। দেশের মানুষ আপনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছে।
মেয়র আইভীকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, সবাই পালিয়ে গিয়েছে আর আপনি দেওভোগে বসে আছেন। আমরা যদি নির্দেশ দেই আপনার হোয়াইট হাউসের একটি ইটও থাকবেনা। তাই বলছি আপনি সাবধান হয়ে যান। বিএনপি অফিস দখল করেছেন, কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কোন খুনি, আত্মসাৎকারী এ দেশে থাকতে পারবেনা। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি এবং থাকবো।
বক্তব্য শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিলটি নগরীর প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে এসে শেষ হয়।
এসময় আর উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সদস্য মাকিদ মোস্তাকিম শিপলু, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক আহবায়ক নজরুল ইসলাম সরদার, জাহাঙ্গীর মিয়াজী, শাহীন আহম্মেদ, আক্তার হোসেন, মহানগর বিএনপি নেতা সাইফুল ইসলাম বাবু, তাউলাদ হোসেন, পলাশ প্রধান,আল-আরিফ, ফারুক আহম্মেদ, কাজী নাঈম, মোয়াজ্জেম হোসেন মন্টি,মানিক বেপারী, মহানগর যুবদল নেতা রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শফিকুল ইসলাম, শহিদুল্লাহ, আরমান, আরিফ হোসেন, রাজু আহম্মেদ রাজন, জনি দেওয়ান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক জনি, দুলাল হোসেন, সাইদউল্লাহ রোমান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।