নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে স্কুলছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজীর ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কাজী মোহাম্মদ মোহসেন এর আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জ থানা পুলিশ স্কুল ছাত্র রোমান মিয়া হত্যা মামলায় তার ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় তার পক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবি সমিতির বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সদ্য নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এইচএম আনোয়ার প্রধান বলেন, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার সরকার সময় রূপগজ্ঞে গোলাম দস্তগীর গাজীর নির্দেশে ও তার হুকুমে তার সন্ত্রাসী বাহিনীর দ্বারায় ১৭ বছরের একটি স্কুল পড়ুয়া ছাত্রকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। সে ঘটনায় রাষ্ট্রো পক্ষের সাথে আমরাও একাত্মতা প্রকাশ করে ছাত্র রোমান হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী গাজী গোলাম দস্তগীরের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। বিজ্ঞ আদালত উভয় পক্ষের শুনানি শেষে তার অসুস্থতার ও বয়স্কতার কারনে ৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন বিজ্ঞ আদালত।
তিনি আরোও বলেন, বাদীর একটা মাত্র ছেলেকে সন্ত্রাসীবাহিনী গুলি করে জাজড়া করে দিয়েছে। তিনি এজহার নামা তিন নম্বর আসামী তার হুকুমে সন্ত্রাসী বাহীনী এঘটনা ঘটিয়েছে। আসামিকে রিমান্ডে
জিজ্ঞাসাবাদ করলে এই ঘটনার সাথে জড়িত অন্যান্য আসামিদের অবস্থান নির্ণয় ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা সম্ভব হবে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুর রশিদ এর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে সাবেক মন্ত্রী গাজীর বিচারের দাবিতে আদালতে আইনজীবীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন এবং বিচারের দাবিতে নানা স্লোগান দেন। এসময়ে আদালত পাড়ায় পুলিশের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
এর আগে শনিবার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাতে ঢাকার শান্তিনগর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পরে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
উল্লেখ্য: ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে নব কিশলয় হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র রোমান মিয়া (১৭) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় গত ২১ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় শেখ হাসিনাসহ ১০৫ জনের নামে যে হত্যা মামলা হয়েছে। এ মামলায় গোলাম দস্তগীর গাজীর তার ছেলে গোলাম মর্তুজা পাপ্পাসহ ৪৫ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৬০ জনকে আসামি করা হয়।