দিনে দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের ১৪নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মনিরুজ্জামান মনিরের বড় ভাই আবুল হোসেন (৬৭)কে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনায় কবির নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে স্থানীয়রা ।
গতকাল বেলা সোয়া ১২টায় শহরের ২নং রেলগেইটস্থ হোসেন ট্রেডার্স নামে থান কাপড় দোকানে সামনে এঘটনা ঘটে । এ সময় উপস্থিত জনতা ২টি ধারালো অস্ত্র সহ কবির হোসেনকে আটক করে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এতে দুইজন গুরুত্ব আহত হয়ে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল চিকিৎসা নেন। পরে চিকিৎসা শেষে আবুল হোসেন সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
এঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন,নন্দিপাড়া এলাকার ফালান মিয়ার ছেলে কবির হোসেন (৫৩), দেওভোগ কাঠের দোতালা এলাকার সিয়াম (২৫), একই এলাকার দিলীপের ছেলে নিরব (২৩), রিফাত (২৫), প্রান্ত (২৪) সহ অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন।
অভিযোগে আবুল হোসেন উল্লেখ্য করেন ,প্রতিদিনের মত দোকানের সামনে বসা ছিলাম। হঠাৎ এক লোক চাপাটি দিয়ে আমাকে এলোপাথারী আঘাত করলে পড়ে যাই। বাম পাশে কোমড়ে আঘাত লেগে যায়। ভয়ে পিছনে আরেক দোকানে প্রাণ বাচাতে গেলেও আরো আঘাত করার চেষ্টা করে। পরে উপস্থিত দোকানী ও জনতা আমাকে রক্ষা করে। ধারালো অস্ত্রের দ্বারায় ভাতিজা মোঃ রাসেল (৩৩), আমার দোকানের কর্মচারী আসিফ (১৯)কেও চাপাটি ও দা দিয়ে আঘাত করে।
জানা যায়, ২৬ আগস্ট কাউন্সিলর মনিরের ছোট ভাই মহানগর যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি আনোয়ার হোসেন আনু মরদেহ ঈদগাহ সংলগ্ন হেলেনা কটেজ এর দশ তলা বিল্ডিংয়ের লিফটের কোর জায়গায় পাওয়া যায়। ইতিমধ্যে আনু হত্যা আসামীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে তৎপর রয়েছে। তার মধ্যে ২ সেপ্টেম্বর মনির হোটেলের পিছনে বড় ভাই মোহাম্মদ আবুল হোসেনের থান কাপড় দোকানে বসা ছিলেন তখন হামলা করে ৩/৪ দারালো অস্ত্রধারীরা।
২নম্বর গেইট এলাকায় থান কাপড়ের শ্রমিক শিল্পির মা জানান, আমরা এখানে কাজন করি। হঠাৎ ৩/৪ জন লোক দৌরে এসে থানকাপড় ব্যবসায়ীদের সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেন সাহেবকে এলোপাথারী আঘাত করে এবং তাকে যারা বাচাইতে আসে তেদেরকেও আঘাত করে। পরে আমাদের ডাক চিককারে সবাই তাকে ধরে ফেলে।
শিপ্লি জানান, আচমকা ৪ জন লোক এসে হোসেন সাহেবকে ধারালো অস্ত্রধারায় তার শরিরে কোপ মারে পরে আমাদের ডাক চিৎকারে মার্কেটে সকলে এসে সন্ত্রাসীকে আটক করে। আমাদের সন্দেহ তার ছোট ভাই আনোয়ার হোসেন হত্যার সাথে জড়িত কিনা প্রশাসন তদন্ত করলে বের হবে।
আটককৃত কবির হোসেন জনতার রোষানলে পরে একেক সময় একেক কথা বলতে শুরু করেছে।
আটককৃত কবির হোসেন জেলা নাগরিক ঐক্য (মান্না-নুরু) সমন্বয়ক বলে দাবি করেন।
ঘটনাস্থলে আসা সদর মডেল থানার পুলিশের এসআই আব্দুর রহিম জানান, আবুল হোসেন একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। তারা চাইলে যে কোন সময় মামলা করতে পারবে। আমরা আইনিভাবে সহযোগীতা করব।