নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে হত্যার চেষ্টার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায়া এনে বিচার দাবীতে মহানগর বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার ( ৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে চাষাড়ায় নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাব চত্বরে মহানগর বিএনপির আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
অনির্ধারিত বিক্ষোভ প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্বের বক্তব্যে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, এ বিক্ষোভ সমাবেশ আজকে করার কথা ছিল না তা আমাদের করতে বাধ্য করা হয়েছে। আজকে মহানগর বিএনপির উপর হামলা করা হয়েছে। বিএনপির অঙ্গসংগঠনের উপর আগাত করা হয়েছে। আবু আল ইউসুফ খান টিপু মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব। মহানগরে লক্ষ লক্ষ বিএনপির নেতাকর্মী রয়েছে। তাদের সংঘঠিত করার জন্য দীর্গদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন টিপু। এই সংগঠনকে দুর্বল করার জন্য প্রতিহত কারা করে তা নারায়ণগঞ্জের মানুষের কাছে নতুন কিছু নয়। আজকে আতাউর রহমান মুকুল ও কাউছার আশাকে নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানেন।
তিনি আরোও বলেন, আতাউর রহমান মুকুল ও কাউছার আশা।গত ১৬ বছরের ইতিহাস নারায়ণগঞ্জের মানুষ জানে। এক সময় আতাউর রহমান মুকুল ও কাউছাররা বলেছে দল যার যার সেলিম ওসমান সবার। আতাউর রহমান মুকুল জাতীয় পার্টি করেছে। সে পার্টির জনসবাও করেছে। সেলিম ওসমানের উপর হাত রেখে বন্দর উপজেলার চেয়ারম্যান হয়েছে। শুধু তাই নয় বিএনপির মহাসচিব বন্দরে এসেছিল। সেদিন মুকুল, হান্নান, সুলতান ও কাউছার গংয়েরা সিরাজউদ্দৌলা মাঠের মধ্যে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল। বিএনপির মহাসচিবের জনসভা করতে দেওয়া হয় নাই। সে জনসভা সোনাকান্দয়া হয়েছিল। জিমখানা স্টেডিয়ামে আওয়ামীলীগের দীপু মনি জনসভায় এসেছিল। সেখানে এ কাউছার মিছিল নিয়ে অংশগ্রহণ করেছে। এছাড়া দীপু মনির পা ধরে দোয়া নিয়েছিল। গত সিটি নির্বাচনে আওয়ামীলীগের সাথে আতাত করে কাউছার কাউন্সিলর হয়েছে। সে কেমন বিএনপি করে! আপনারাই বলেন। সে সময় আওয়ামীলীগ ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে নির্বাচন বর্জন করেছিল সকল দল। সেদিন তৈয়মুর আলম খন্দোকার নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার কারনে তাকে বহিস্কার করা হয়।
বিএনপির আহ্বায়ক এড. সাখাওয়াত হোসেন খান আরোও বলেন, এ বিএনপির থেকে মুকুল অনেক কিছু পেয়েছিল। তারা ২০০৯ সাল থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত বিএনপি করেছিল। এর পরে তাদের কাউকে বিএনপির কোন অনুষ্ঠানে খুজে পাওয়া যায় নাই। তখন আমাকে কিমিটি করে দেওয়া হলে বহিস্কৃতরা আমাকে মেনে নিতে পারেন নাই। সেই সময় থেকে বিএনপিকে বিতর্কিত করতে চেয়েছিল। াককরাম সাহেব যখন বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচন করেন তখন মুকুল – কাউছাররা বিএনপির এজেন্ডদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। সেই সময় তারা বিএনপির নেতাদের মিথ্যা মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। তারা কাপুরুষিত ভাবে বিএনপি’র প্রক্ষিত নেতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। অবিলম্বে হত্যা চেষ্টাকারীদের দূরত্ব গ্রেফতার করা হোক।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, সমাবেশে মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এডভোকেট সরকার হুমায়ুন কবীর, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফতে মো. রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন আনু, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সাদেকুর রহমান সাদেক,জেলা বিএনপির মাসুকুল ইসলাম রাজিব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মোমিনুর রহমান বাবু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব সাহেদ, সদর থানা বিএনপির সভাপতি মাসুদ রানা, বন্দর থানা বিএনপির সভাপতি শাহেন শাহ আহমেদ, মহানগর মহিলা দলের নেত্রী দিলারা মাসুদ ময়নাসহ নেতৃবৃন্দ।