জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানীর উপর হামলা ও কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের প্রথম শ্রেণীর আম্পায়ার শওকত আলী দিদারকে হত্যার প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ মিশনপাড়া হতে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে চাষাড়াস্থ বিকেএমইএ’র ভবন চত্বরে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসীদের হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মোমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা সভাপতিত্বের বক্তব্যে বলেন, “আজকে আমাদের জিলানী ভাইকে হত্যার উদ্দেশ্য আওয়ামী সন্ত্রাসীরা শওকত আলী দিদার ভাইকে হত্যা করেছে। জিলানী ভাইয়ের সহ-ধর্মিনী সহ তার পরিবারকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল। দেশ স্বাধীন হয়েছে ঠিকই কিন্তু খুনি হাসিনার রক্ষী বাহিনী বলবৎ আছে এখনো। খুনি হাসিনার রক্ষী বাহীনি এখনও দেশে রয়েছেন যা দেশের জনগণ এর জন্য নিরাপদ নয়। এ হামলা থেকে আমরা শিক্ষা নিলাম। এখন থেকে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের যেখানে পাব সেখানেই প্রতিরোধ করবো৷”
নেতৃবৃন্দদের উদ্দেশ্যে তিনি আরোও বলেন, “আওয়ামী লীগ তারা নিজেরাই জঙ্গী সন্ত্রাসী। তারা বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের উপর যে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে তা আমরা করব না। দেশের আইন আছে আমরা আইনের হাতে তুলে দিব। দেশে এখনও সেনাবাহীনি আছে, জনগণকে আশ্বস্ত করছে। আপনারা দেখেছেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু ভাইকে হত্যা করার লক্ষে আওয়ামী লীগের দোসররা পিটিয়ে রক্তাক্ত করেছে। আজকে গণতন্ত্রের আইনের দ্বারায় সন্ত্রাসীদের বিচার হচ্ছে। এছাড়া আমাদের স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতাদের উপর হামলা করা হয়েছে। ওসি সাহেবকে ২/৩ বার ফোন করতে হয়েছে। এটা দুঃখ জনক, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে এটাই স্বাভাবিক।”
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মোমিনুর রহমান বাবু বলেন, “ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচার শেখ হাসিনা লেজ গুটিয়ে পালিয়েছে কিন্তু তার সন্ত্রাসী দোসররা দেশের আনাচে কানাচে অবস্থান করছে। তারই পরিপেক্ষিতে আমাদের উপর হামলা চালাচ্ছে। গতকাল শুক্রবার এস এম জিলানী ভাই সহ অকেনকের উপর হামলা চালিয়ে দিদার ভাইকে হত্যা করেছে। এঘটনায় মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এখন আমরা নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাব না, যেখানে সন্ত্রাসীদের পাব সেখানেই তাদের উচিত জবাব দিব।”
প্রসঙ্গত, গতকাল ১৩ই সেপ্টেম্বর শুক্রবার গোপালগঞ্জে নিজ বাড়িতে যাওয়ার সময় সদর উপজেলার ঘোনাপাড়া বাজার এলাকায় স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি এস এম জিলানীর গাড়ি বহরে সন্ত্রাসী হামলায় স্বেচ্ছাসেবকদল কেন্দ্রীয় কমিটির ক্রীড়া সম্পাদক ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের ১ম শ্রেণির আম্পায়ার শওকত আলী দিদার নিহত হন এবং এস এম জিলানীর সহধর্মিনী গোপালগঞ্জ জেলা মহিলা দলের সভাপতি রওশন আরা রত্না ও তাদের দুই ছেলে সহ গুরুতর আহত হয়েছে আরও অন্তত ৫০ জন।
মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা ও সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক কামাল উদ্দিন মির্জা জনি, যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ সাহেব উল্লাহ রোমান, মোঃ হামিদুর রহমান সুমন, মোঃ দুলাল হোসেন, মোঃ শাহিন আহম্মেদ, মোঃ মাহাদী হাসান মিঠু, রাকিব আহমেদ ডালিম প্রধান, ভিপি নজরুল ইসলাম, মোঃ রেজাউল করিম, মোঃ শাকিল আহমেদ, আক্তার হোসেন, মোঃ রাইয়ান হক, দপ্তরের দায়িত্বে আমান শিকদার, সহ-দপ্তরের দায়িত্বে হাসানুজ্জামান লিমন, শরিফুর রহমান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা রেদোয়ান আহম্মেদ পাপ্পু, হাবিবুর রহমান হাবিব, সেলিম, সদর থানা মিঠু, হাবুল, মিন্টু, আব্দুল্লাহ, বাবু, রিয়ান, সুমন প্রমুখ।