নারায়ণগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও সরকারি তোলারাম কলেজের শিক্ষার্থী জাহিদ হাসানের উপর সন্ত্রাসী শামীম উসমানের দালালখ্যাত মাওলানা ফেরদৌস-হারুন গংদের সন্ত্রাসী বাহিনী কর্তৃক হামলার প্রতিবাদে প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকালে নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব চত্বরে নারায়ণগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’র আয়োজনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ও নারায়ণগঞ্জ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা বলেছেন, “নারায়ণগঞ্জের একটি জায়গাতে প্রতিনিয়তই যানজট লেগে থাকে। শুধু জাহিদ ভাই নয়, শহীদ মিনারে হর হামেশাই হামলা হচ্ছে যেখানে কোন প্রশ্ন, জবাবদিহিতার জায়গা ন্যূনতম প্রশাসন দেখায়নি। আমরা প্রশাসনকে ধিক্কার জানাই! আমরা প্রশাসনকে দেখেছি যানজট সহ এলাকার কোন ভূক্তভূগীর সহযোগীতায় প্রশাসন যাচ্ছে না। ঠিক তেমনই কিছু ব্যাক্তি তার অধীকারের জন্য আন্দোলন করছে। তাদের দাবী নূণ্যতম না জেনে হামলা করা হয়, ঠিক এমনই আমাদের শ্রমিক ভাইদের উপর গুলি চালিয়েছে। প্রশাসন একদিকে বলছে আমাদের কিছু করার নাই অপর দিকে পুলিশ গুলি চালিয়ে মানুষ মারছে৷ ৫ই আগস্টের পর থেকে নতুন করে কোন ফ্যাসিবাদী উত্থান চাই না৷ আজকে সাগর-রুনির বিচার হচ্ছে।তাই কাউছার, তোফাজ্জল সহ সকল হত্যার বিচারের দাবী করছি এবং গত ১৫ বছরে যে বিচার ব্যবস্থা ছিল তার যেন পুনরাবৃত্তি না হয়।”

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’র আন্দোলনে অন্যতম সংগঠক প্রভাষক মাইদুল ইসলাম বলেন, “মুসলমান আলেম ওলামায়দের ভালবাসার স্থান হচ্ছে হেফাজত ইসলাম। সেই হেফাজত ইসলামকে কলঙ্কিত করেছেন এই মাওলানা ফেরদৌস। সে হেফাজতে থাকা অবস্থায় বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় শত্রু ভারতের দালাল আওয়ামী লীগের দোসর নারায়ণগঞ্জের শামীম ওসমানকে নগ্নভাবে সমর্থন দিয়ে গিয়েছে মাওলানা ফেরদৌস। হেফাজত ইসলামকে কলঙ্কিত করে থেমে যায় নাই৷ মাওলানা ফেরদৌসকে যখন কমিটি থেকে বাদ দেওয়ার কথা হচ্ছে আন্দোলন হচ্ছে, তখনই আমাদের জাহিদ ভাইয়ের উপর হামলা চালানো হচ্ছে। এ হামলার নিন্দা নয় প্রশাসন যদি যথাযথ ভাবে বিচার না করে তাহলে শেখ হাসিনা ও শামীম ওসমানকে দেশ ছাড়তে যেমন বাধ্য করেছে তেমনি নারায়ণগঞ্জের জনগণ মাওলানা ফেরদৌসকে পালাতে বাধ্য করবে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা।”

শাহ্ নেওয়াজের সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, মুফতী সাব্বির আহম্মেদ, নারায়ণগঞ্জ ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, অমিত হাসান, প্রভাষক মাইদুল ইসলাম, নিরব রায়হান, জাহিদ হাসান, ফাহাদ আব্দুল্লাহ, আবু হুরাইয়া তানজিম সহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা’র আন্দোলনে অন্যতম সংগঠক এর নেতৃবৃন্দরা।