নারায়ণগঞ্জে ফতুল্লায় চাঁদাবাজি মামলা তুলেনিতে বাদীকে হুমকী। জিডি, মামলা ও জেলা প্রশাসক – জেলা প্রশাসনে নিরাপত্তা চেয়েও প্রতিকার পাচ্ছে না ভুক্তভোগী শাহ আলম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নির্বিচারে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালানো – হত্যা মামলায় জড়িত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন- অর- রশীদের অনুসারী চোর সিন্ডিকেটের অন্যতম হোতা মোকারিম সর্দার ও কাউসার আহমেদ পলাশ এর সন্ত্রাসী বাহিনীর ফের তৎপর হয়ে উঠেছে। এ বাহিনীর অদৃশ্য শক্তিতে অসহায় ফতুল্লাবাসী।
ফতুল্লা থানায় মামলা ও জিডি সহ জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনে অভিযোগের অভিযুক্তরা হলেন, জাতীয় শ্রমিক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও ফতুল্লা আলীগঞ্জের ইদ্রিস আলীর ছেলে কাউসার আহম্মেদ পলাশ (৫৩), কিশোরগঞ্জের নিকলী দামপাড়া এলাকার ও ফতুল্লা আলীগঞ্জের নুরুল ইসলাম এর ছেলে মোকারিম (৫২), মৃত আক্কাস আলী ছেলে শাহাদৎ হোসেন সেন্টু (৪৭), নুরুমুন্সীর ছেলে আবুল হোসেন (৪৬), মৃত চাঁন মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া (৫৮), কিশোরগঞ্জের নিকলী দামপাড়া এলাকার নুরুল ইসলাম ছেলে ও মোকারিম ভাই আনোয়ার হোসেন (৩৫), আলীগঞ্জ এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে সাঈদ (৫১), নন্দলালপুর এলাকার আঃ সামাদ মিয়ার ছেলে নজরুল ইসলাম (৪৮), আলীগঞ্জ এলাকার মৃত তমিজ উদ্দিনের ছেলে সামসুল ইসলাম সামুল (৪৬), মৃত করিম মিস্ত্রীর ছেলে হালিম খাঁন (৫৮), কিশোরগঞ্জের মিঠামইন হোসেনপুর এলাকার আবদুল হাসেম এর ছেলে ও সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ (৪৮)সহ অজ্ঞাতনামা আরোও ৫ জন এর বিবিরুদ্ধে মামল ও অভিযোগ করা হয়েছে।
এতের অধিকাংশের নামে ছাত্র- জনতা হত্যা মামলা সহ
চাঁদাবাজী,সন্ত্রাসী,ভূমিদস্যু, চোরাকারবারী সহ একাধীক মামলা রয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ্য করেছেন। বাদী শাহ আলম। জেলা প্রশাসক ও জেলা প্রশাসনে নিরাপত্তা চেয়ে অভিযোগ করা হয়। অভিযোগে উল্লেখ্য করেন উল্লেখিত আসামীরা আমার বাড়ীতে গিয়ে বিভিন্ন প্রকার হুমকি ধমকি প্রদান করে। আমি মামলা প্রত্যাহার না করি তাহলে, আমাকে ও আমার ছোট ভাই সাইফুল ইসলামকে সহ প্রাণে মেরে ফেলবে এবং বিভিন্ন সাজানো ও মিথ্যা হয়রানি মূলক মামলা দিবে বলে তাহারা হুমকি প্রদান করে। এবং গনহত্যার বিভিন্ন থানার মামলার এজহার ভূক্ত আসামী তারা। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের ছত্র ছায়ায় কেন্দ্রীয় শ্রমিক লীগের সাংগঠানিক সম্পাদক কাউসার আহমেদ পলাশ ও ফতুল্লা থানা চোর সিন্ডিকিটের হোতা মোকারিম সর্দার ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন, হালিম খান ও সাঈদ বিগত স্বৈরাচারী সরকারের আমলে সন্ত্রাস নৈরাজ্য, ভূমিদস্যুতা, চুরি, লুটপাট, হত্যা, দুর্নীতিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদের নিজ জেলা কিশোরগঞ্জের লোক মোকারিম সর্দার ও তার ভাই আনোয়ার হোসেন এর নামে কিশোরগঞ্জ এর বিভিন্ন থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতা হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে।
এছাড়া কাউসার আহমেদ পলাশ গংদের বিরুদ্ধে যাত্রাবাড়ী ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র ও জনতা হত্যার অভিযোগে মামলা হয়েছে। পলাশ গং রা গার্মেন্ট শিল্প ধ্বংস করার জন্য বিসিক ও সাভার ইপিজেডে পরিকল্পিতভাবে পোশাক শ্রমিকদের উস্কানি, ভয় ভীতি ও সন্ত্রসী কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছে। ফতুল্লা মডেল থানা কাউসার আহমেদ পলাশ গংদের বিরুদ্ধে অপহরন, চাঁদাবজি, হত্যার হুমকি, নির্যাতন, জমি আত্মসাৎ সহ বিভিন্ন অভিযোগে বিজ্ঞ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, নারায়ণগঞ্জ এ পিটিশন মামলা নং- ৪৭৭/২৪ দায়ের করা হয়েছে এবং ফতুল্লা মডেল থানায় বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে যার মামলা নং- ০২/১০/২৪। এসকল অপরাধীদে দ্রুত গ্রেফতার ও বিচারের আওতায় আনার দাবী জানাই। কিন্তু বর্তমান আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাদের গ্রেফতার করতে নিরব ভূমিকা পালন করছে।
এছাড়াও ভুক্তভোগী ও স্থানীয়রা জানান, উল্লেখিত ২ নং আসামী মোকারিম হলো সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ এর ব্যবসায়িক পার্টনার। গত ৫ ই আগষ্ট এর ২ মাস পূর্বে ডিবি প্রধান হারুন মোকারিমকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা ব্যবসার জন্য দেন। উক্ত টাকায় মোকারিম আলীগঞ্জে বড় পরিসরে কয়লার ব্যবসা করিতেছে। তদন্ত করলে ব্যাংক একাউন্টের লেনদেনই প্রমান পাওয়া যাবে। এবং অনেক জমি ক্রয় করিয়েছে ডিবি প্রধান হারুন সহ তাহার ভাই ও মোকারিমের নামে, ক্রয়কৃত জমির মৌজার নাম হলো- আলীগঞ্জ ও দাপাইদ্রাকপুর, ফিলকুনি মৌজা, যাহা নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় অবস্থিত। এবং ঢাকার কেরানীগঞ্জের পাঁনগাও মৌজাসহ অত্র এলাকার বিভিন্ন মৌজায় ডিবি প্রধান হারুন ও তাহার ভাইয়ের নামে উক্ত মোকারিমের মাধ্যমে অনেক জমি ক্রয় করিয়া দেয়।