নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডি সি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন জেলার জেলা ও দায়রা জজ আদালত ও এর অধীন আদালতে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে নবনিযুক্ত আইন কর্মকর্তা বৃন্দরা।
রবিবার ( ৩ নভেম্বর) বিকালে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সম্মেলনে কক্ষে নবনিযুক্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা আদালাতের জিপি-পিপি আইন কর্মকর্তা বৃন্দদের সৌজন্য সাক্ষাৎ ও আলোচনা করা হয়।
নবনিযুক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পি পি) মো.আবুল কালাম আজাদ জাকির, সরকারি কৌসুলি ( জি পি) খন্দকার আবুল কালাম ও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর ( পি পি ) খোরশেদ আলম মোল্লা এর নেতৃত্বে জেলা দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতসহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর বৃন্দরাদের মধ্যে ৮০ জন উপস্থিত ছিলেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম আনোয়ার প্রধান উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জেলা আইনজীবী সমিতি সভাপতি ও মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবির বলেন, জিপি ও পিপি সহ অতিরিক্ত সহকারি পিপি দের সম্মানী জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ এবং তার মাধ্যমে যেন আসে। এছাড়া যারা জেলা আদালাতের জিপি-পিপি আইন কর্মকর্তা হয়েছেন তাদের কাছে আমরা ভালো কিছু প্রত্যাশা করছি। মানুষ যেন ন্যায় বিচার পায় সে প্রত্যাশা করছি। তাছাড়া বিগত দিনে যারা এই দায়িত্বে ছিলেন তাদের মতন যেন না ঘটে। তারা প্রতিপক্ষকে নিয়ে যে প্রতিহিংসায় লিপ্ত ছিল সেটা যেন পূনরায় ননাঘটে সেই আহ্বায়ন করছি।
সৌজন্য সাক্ষাতে ও পরিচয় পর্বে এসময় জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মাহমুদুল হক বলেন, ফৌজদারী মামলা
নিস্পক্তি হয়না কেন সেটা আপনিও জানেন জজ সাহেবও জানেন। এর কারন একক কোন পক্ষ এর জন্য দায়ীনা। এবং “ল” ইয়ার ও প্রসিকিউটর তৈয়রী করার সব থেকে কারন হচ্ছে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করা। ২০০৬ সালে সরকারি এক গবেষণায় এসেছে। ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ১শ ঘটনার মধ্যে ৫০টা ঘটনা কোটে যায় না। এমনিই পরে থাকে। বিকি ৫০ টা মামলা বিচার হয় ১১.৮ পারসেন্ট। সাক্ষ প্রমানের অভাবে অনেকেই বিচার পায়না। ২০ পারসেন্ট হাতেনাতে কট মাদক নিয়ে গ্রেফতার হওয়া ব্যবসায়ীরা বের হয়ে যায়।
তিনি আরোও বলেন, তিন- চার মাস আগের বন্দরে মদনপুরে একটি ঘটনা ঘটেছে। আমাকে গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়ে নিশংস হত্যার ঘটনা ভিডিওটা দিয়েছে। সামনে পিছনে ধরে রেখেছে আরেক জন মারছে। তা নিহতের মেয়ে ৯ বছরে শিশু বাচ্চা চুপচাপ ভিডিও ধারণ করেছে। এ এক হৃদয় বিদায়ক ঘটনা। বাচ্চার সামনে বাবাকে মেরেছে। সুনেছি এটা নাকি মাদকের ব্যাবসা সেখানে ছিল। পারিবারিক দ্বন্দ্বের কারণে নাকি এঘটনা ঘটেছে। ২০০৩ সালে মাডার মামলা এখনও শেষ হয়নি। সাক্ষ প্রমাণে ও আইনের দুর্বলতা ও ফাঁক ফকরের কারণে বিচার হচ্ছেনা জুলে আছে। যারা আসামী ২০ বছর যাবত পালিয়ে বেড়াচ্ছে। ২৪ সালে এসে তাদের স্বজনের জানাযায় আসলে সেখানে গ্রেফতার হয়। এগুলা হচ্ছে একটা উদাহরণ। এরকম অনেক হত্যার ঘটনা রয়েছে বিচার হচ্ছে না সেটা কোন না কোন কারনে জুলে রয়েছে।