সাব্বির হত্যা মামলায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন আদালতে। তবে আসামি জাকির খানের জড়িত থাকার বিষয়ে কিছুই জানেনা সাক্ষীরা। এ দিন জাকির খানের মুক্তির দাবিতে নেতাকর্মীরা আদালতপাড়ায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সকালে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মমিনুল ইসলামের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।
সাক্ষী হলেন- নিহত সাব্বিরের মামাতো ভাই সোহাগ।
আসামি পক্ষের আইনজীবী মো. রবিউল হোসেন বলেন, নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের মামাতো ভাই আজ আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। তবে কে হত্যা করেছে কিভাবে হত্যা হয়েছে সে বিষয়ে সে কিছুই জানেনা। আজ এটা ১৭ নম্বর সাক্ষী। এ পর্যন্ত কোন সাক্ষী বলতে পারেনি জাকির খান এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত। সুতরাং আমরা আশা করতে পারি, অচিরেই তিনি মুক্তি পাবেন।
এদিকে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানের মুক্তির দাবিতে সকাল থেকে আদালত পাড়ায় দলে দলে ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে তার কর্মী- সমর্থকরা। এ সময় তারা স্লোগানে স্লোগানে আদালতপাড়া প্রকম্পিত করে।
এ সময় মিছিলে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মনির খান, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক লিংকন খান, যুবদল নেতা পারভেজ মল্লিক, জাকির খান মুক্তি পরিষদের আহবায়ক সলিমুল্লাহ করিম সেলিম, কাশিপুর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রহমতউল্লাহ মানিক সহ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, ২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার। এ হত্যাকান্ডের পর তার বড় ভাই তৈমূর আলম বাদি হয়ে ১৭ জনকে আসামী করে ফতল্লা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর মোট ৯ জন তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়। পরবর্তিতে মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি) স্থানান্তর করা হয়।
সিআইডির এএসপি মসিহউদ্দিন দশম তদন্তকারী কর্মকর্তা দীর্ঘ প্রায় ৩৪ মাস তদন্ত শেষে তিনি ২০০৬ সালের ৮ জানুয়ারী আদালতে ৮ জনকে আসামী করে চার্জশীট দাখিল করেন। এতে মামলা থেকে গিয়াসউদ্দিন, তার শ্যালক জুয়েল, শাহীনকে অব্যাহতি দিয়ে সাবেক ছাত্রদল সভাপতি জাকির খান, তার দুই ভাই জিকু খান, মামুন খানসহ মোট ৮ জনকে আসামী উল্লেখ করা হয়।