বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে মো. আল-আমিন (৩৬) নামে এক যুবককে হত্যা চেষ্টার ঘটনায় নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে আসামি করে মামলা দায়ের হয়েছে। এতে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০-৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন। এর আগে গত বুধবার মধ্যরাতে ভুক্তভোগী আল-আমিন সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।
এ মামলায় শামীম ওসমান ছাড়াও তার পুত্র অয়ন ওসমান (৩৭), ভাতিজা আজমেরি ওসমান (৪৫), শাহ নিজাম (৫৬), সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি (৫৫), সাবেক কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া (৫৫) ও শাহজালাল বাদল (৪২) সহ ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়।
এজাহার সূত্রে জানা যায়, ৩ আগস্ট সিদ্ধিরগঞ্জের মিতালি মার্কেটের সামনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় ভুক্তভোগীসহ আন্দোলনকারীদের ওপর অতর্কিত হামলা চালান শামীম ওসমান, তাঁর পুত্র অয়ন ওসমান, আজমেরি ওসমান, শাহ নিজাম, সাবেক কাউন্সিলর মতিউর রহমান মতি, সাবেক কাউন্সিলর নুর উদ্দিন মিয়া ও শাহজালাল বাদলসহ অন্যরা। ওইসময় জনতাকে লক্ষ্য করে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলার এক পর্যায়ে আল-আমিনের ডান হাতে লোহার রডের আঘাত লেগে হাড় ভেঙে যায়। পরে ঘটনাস্থলে থাকা কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার চিকিৎসা করে। এখনো আল আমিন চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জুলাই আগস্ট আন্দোলনের ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ৭ টি থানায় এখন পর্যন্ত ৮৭ টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ মামলা হয়েছে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় যার সংখ্যা ৩৭ টি, দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মামলা হয়েছে ফতুল্লা থানায় যার সংখ্যা ২১ টা। ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জ মিলিয়ে মামলা হয়েছে ৫৭ টি। অন্যদিকে সদর থানায় মামলা হয়েছে ৬ টি, সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে ১১ টি, বন্দর থানায় মামলা হয়েছে ৩ টি, আড়াইহাজার থানায় মামলা হয়েছে ৪টি, রুপগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে ৫ টি। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানের সংসদীয় আসন ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জে সবচেয়ে বেশি মামলা দায়ের করা হয়েছে।