নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে কবির হোসেন নামক ঝুট ব্যবসায়ীর হত্যা মামলায় আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মনির হোসেন (৩২) গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১, সিপিসি-১ এর সদস্যরা।
সোমবার (১৮ নভেম্বর ) ফতুল্লা মডেল থানাধীন কুতুবা আইল এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মনির হোসেন (৩২) ফতুল্লা কোতয়ালেরবাগ (কচু মাস্টারের বাসার ভাড়াটিয়া) বিল্লাল মুন্সির ছেলে।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকালে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেন, র্যাব-১১, সিপিসি-১ নারায়ণগঞ্জ কোম্পানী কমান্ডার উপ- পরিচালক মেজর অনাবিল ইমাম।
র্যাব ১১ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তিনি উল্লেখ করেন, গত ২০১১ সালের ২১ এপ্রিল রাত্রে পরিবারের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিলেন ফতুল্লা থানার শিয়াচর এলাকার আনিছ মিয়ার ভাড়াটিয়া ও ঝুট ব্যবসায়ী কবির হোসেন (৩৫)। গভীর রাতে ভিকটিমকে ফোন করে তার ভাড়া বাসা থেকে ডেকে নেয় অভিযুক্ত আসামিরা। এরপর ভিকটিম আর বাড়িতে ফিরেননি। পরেরদিন সকালে পাশের এলাকার একটি ডোবা থেকে তার গলা ও পেট কাটা মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাসলিমা বেগম বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে পূর্ব বিরোধের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিম কবির হোসেনকে হত্যা করা হয়েছে।
এখানে আরোও উল্লেখ্য করেন, দীর্ঘ ১ যুগ পর গত ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং সালে নারায়ণগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত উম্মে সরাবন তহুরা মামলাটির রায় ঘোষণা করেন। ঐ রায়ে দুই জনকে আমৃত্যু কারাদন্ড ও পাচঁজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেয় আদালত। একই সঙ্গে তাদেরকে ৫০,০০০/- টাকা করে জরিমানা করা হয়। আমৃত্যু কারাদন্ড প্রাপ্তরা হলেন, ফতুল্লার সিয়াচর এলাকার সালেহা বেগম ও মনির হোসেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলো, কাজল মিয়া, মোঃ জুয়েল, নুরুল ইসলাম, মাজেদুল ইসলাম ও মোঃ লিটন মিয়া। ঐ মামলার রায় হওয়ার পর হতে আসামী মোঃ মনির হোসেন আইনশৃংখলা বাহিনীর নজরদারীর বাহিরে গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপন চলে যায় এবং দীর্ঘ দিন পলাতক থাকে। পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক গ্রেফতারী সাজাপ্রাপ্ত পরোয়ানা ইস্যু হলে র্যাব-১১, সিপিসি-১, নারায়ণগঞ্জের একটি চৌকস আভিযানিক দল অভিযান পরিচালনা করে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ও তথ্য-প্রযুক্তির সহায়তায় পরোয়ানায় বর্ণিত আসামী মোঃ মনির হোসেন (৩২)কে ফতুল্লা কোতয়ালেরবাগ (কচু মাস্টারের বাসার ভাড়াটিয়া) গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।