বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
অভিযুক্ত সুমন মিয়া আড়াইহাজারের মাহমুদপুর ইউনিয়নের শ্রীনিবাসদী গ্রামের হান্নান মিয়ার ছেলে ও নিহত জিদনী আক্তার বৈলেরকান্দি এলাকার মৃত. সিরাজ মিয়ার মেয়ে। সুমন মিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা ও সরকারি সফর আলী কলেজের সাবেক জিএস।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহতের শ্বশুরবাড়ির লোকজনের দাবি গৃহবধূ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে আনার পরে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে নিহতের পরিবারের দাবি গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। যদিও নিহতের শরীরে পিটুনীর কোন চিহ্ন পাওয়া যায়নি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে নিহতের স্বামী সুমন মিয়া দাবি করেছেন, তার স্ত্রী জিদনী আক্তার(২৩) হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নিহতের চাচা আহসান হাবিব অভিযোগ করে বলেন, প্রায় দেড় বছর ধরে তাদের প্রেমঘটিত সম্পর্কের পর বিয়ে হয়। দেড় মাস আগে তাদের একটি সন্তান হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুকের জন্য জিদনী আক্তারের মায়ের বাড়ির স্বজনদের নানাভাবে চাপ দেয় ছাত্রলীগ নেতা। নিহতের বাবা না থাকায় জিদনী আক্তাররের স্বজনরা কয়েক ধাপে ৩ লাখ টাকা যৌতুক দেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন যৌতুকের টাকা নিলেও তারা আমাদের মেয়েকে চিকিৎসা সেবা দেওয়ার ব্যবস্থা করেনি।
তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি আরও যৌতুকের দাবি করে সুমন। এসব বিষয় গতকাল রাতে জিদনী আক্তার তার স্বজনদের ভিডিও কলে এসব বিষয় জানায়। এদিকে এই বিষয়টি জানতে পেরে ক্ষুব্ধ হয়ে জিদনী আক্তার কে পিটিয়ে হত্যা করে স্বামী সুমন মিয়া।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন বলেন, এটা হত্যাকান্ড কিনা তা এখনো নিশ্চিত না। নিহতের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন ও তদন্ত শেষে নিশ্চিত করে বলা সম্ভব হবে। এই ঘটনা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্বামীকে আপাতত পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।