দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্র, দাঙ্গা হাঙ্গামা সৃষ্টির অপচেষ্টা ও এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার প্রতিবাদে
নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ এর আয়োজনে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছে।
বুধবার( ২৭ নভেম্বর) বাদ আসর নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শহরে প্রধান প্রধান সড়কে প্রদক্ষিণ করেন এবং মিছিলে স্লোগানে শহীদ এডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ এর হত্যাকারীকে গ্রেপফতার ও ইস্ক*ন সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার দাবী জানানিয়ে স্লোগান দেওয়া হয়।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেফাজতে ইসালাম বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় সহ-প্রচার সম্পদক ও নারায়ণগঞ্জ জেলা জমিয়াতে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ’র সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ সভাপতি মুফতি হারুনুর রশদি এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মীর আহমাদুল্লাহ এর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন, হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ নারায়ণগঞ্জ জেলা সহ-সভাপতি তৈয়ব আল হোসাইনী, মহানগর সহ- সভাপতি মাওলানা কামাল উদ্দিন দায়ইমী, সহ- সভাপতি মাওলানা মনিরুজ্জামান, হেফাজতে ইসালাম বাংলাদেশ মহানগর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মুফতী আলাউদ্দিন ফরাজি, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্বাস, মুফতী মুনছুর আহম্মেদ, রুপগঞ্জ থানার নেতা আবু ইউসুফ, মাওলানা মনিরুজ্জামান প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফেরদাউসুর রহমান বলেন, আমরা পরিক্ষাত। আপনারা রাজপথে নেমে আসেন। আমরা এক ঘন্টার আল্টিমেটাম দিলে টিকবেন না। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা ইতিমধ্যে মিটিংএ বসছেন। জাতীয়ভাবে দিক নির্দেশনা দিবেন সেই নির্দেশ অনুযায়ী আমরা জেলায় জেলায় কাজ করব। এ ফ্যাসিষ্ট সরকার বিদায়ি হওয়ার পর কখনও কখনও তুমি আমিকে আনছার দৌড়াইছে। এ সরকার ছাত্রলীগ- কুত্তালীগকে নিষিদ্ধ করেছে। ছাত্রাবাসে অস্ত্র থাকার কথা না। ফ্যাসিষ্ট সরকারের গুন্ডাবাহিনী রাষ্ট্রকে ধ্বংশ কারেছে। এ ছাত্রলীগ কত মায়ের কোল খালি করেছে। ইসকনের কাঁধে ভর করে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করতে চায়। এদেশের মানুষ ৭১ সালে যুদ্ধ করে রক্ত দিয়েছি। আবার যদি এ বাংলাদেশকে নিয়ে অস্থিতিশীল করতে চাও একটারও পিঠের চামরা থাকবে না। আমাদের পায়ে লেং মেরে তারা মাঠে নামাইতে চাচ্ছে। হিন্দু – মুসলমানদের মধ্যে দাঙ্গা চা্ছে। কিন্তু রাষ্ট্র আমরা স্বাধীন করেছি। এই রাষ্ট্রকে সুন্দরভাবে আমরা পরিচালনা করে দেখাবো। লুট-পাট করা রাষ্ট্রকে আমরা পূর্ণউদ্ধার করে দেখাব।
হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশ জেলা ও মহানগর নেতৃবৃন্দরা বক্তব্যে আরোও বলেন,কেউ বলে ৯৩ পারসেন্ট, কেউ বলে ৯৫ পারসেন্ট মুসলমান। আর সংখ্যালঘুরা হলো ৫ পারসেন্ট। সংখ্যালঘুদের উপর যখন আক্রমণ হওয়ার খবর শুনেছি তখন তাদের নিরাপত্তায় পাহাড়া দিয়েছি। গত ৫ই আগস্টের পরে আপনারা দেখেছেন আমরা উলামায়ের নেতৃবৃন্দরা তাদের নিরাপত্তায় পাহাড়া দিয়েছি। যাতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় থাকে। কিন্তু আফসোসের বিষয় তারা মুসলমানদের কলিজায় আঘাত দিয়েছে। গতকাল দেখেছি চট্রগ্রামের এক মুসলমান ভাইকে নৃশংসভাবে জবাই করে হত্যা করেছে। তারা হয়তো যানেনা সাপের লেজ দিয়ে কান চুলকালে কি হয়। এদেশ মুসলমানের দেশ। ইসকন নামে দুই জঙ্গী সসংগঠন আছে। আমাদের মুরুব্বিরা যদি হুকুম দেন এদেরকে তলদার বানিয়ে ফেলা হবে। ইসকন নামক জঙ্গী সংগঠন বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় তারা দাঙ্গা করার চেষ্টা করছে, মুসলমানদের উপর আক্রমন করার চেষ্টা করছে। হিন্দুত্ববাদ রাষ্ট্র করার চেষ্টা করেছে। আইন প্রশাসনকে বলছি অনতিবিলম্বে আপনারা এর বিচার করেন। আপনারা যদি বিচার করতে ব্যর্থ হন তা হলে ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের পিঠের চামরা তুলে নিব।