নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, পতিত স্বৈরাচার পাশের দেশে বসে ষড়যন্ত্র করছে। কী করে তারা এ সরকারকে ব্যর্থ করে দিতে পারে, এ সরকারের জনপ্রিয়তা নষ্ট করে দিতে চেষ্টা করছে। অনেক কার্যক্রম তারা হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাস হল সহাবস্থানের ইতিহাস। সম্প্রীতির এই সমাজে হিন্দুদের ব্যবহার করে দেশে দাঙ্গা লাগাতে চাচ্ছে। ইসকন নামের একটি সংগঠন দিয়ে তারা দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে চাইছে। যেন আবারও ফ্যাসিস্ট শক্তি ফিরে এসে আমাদের ঘাড়ে চেপে বসতে পারে। আপনারা সজাগ থাকবেন। এই ষড়যন্ত্রকে আমাদের ব্যর্থ করে দিতে হবে।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, আমরা মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে অনেক রক্তের বিনিময়ে এ দেশকে স্বাধীন করেছিল। করেছিলাম গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করার জন্য। একটি আদর্শ ও ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছিলাম আমরা। কিন্তু গত ১৬ বছর ফ্যাসিস্ট হাসিনা আমাদের সে লক্ষ্য অর্জন করতে তো দেয়নি বরং যা ছিল সেগুলেকেও ধ্বংস করে দিয়েছে। শেখ হাসিনা আইনের শাসনকে ধ্বংস করেছে, প্রশাসনকে ধ্বংস করে দিয়েছে। দেশের অর্থনীতিকে ওরা ধ্বংস করে দিয়েছিল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি আওয়ামী লীগের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে। আমাদের বহু নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেয়া হয়েছে, গুলি করে আমাদের নেতাকর্মীদের পাখির মত হত্যা করেছে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা পুলিশকে সাধারণ মানুষের ওপর লেলিয়ে দিয়েছিল। তারা জনগণের টাকায় কেনা গুলি জনতার ওপর চালিয়েছে। মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। অবশেষে পাঁচ আগষ্ট জনগণের আন্দোলনে ফ্যাসিস্ট হাসিনা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়।
বাংলাদেশের মানুষ স্বৈরাচার মুক্ত হয়ে নতুন স্বপ্ন দেখছে। আজ বাংলাদেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে কত দ্রুত তাদের আশা পূরণ হবে। স্বৈরাচারকে অপসারণের পর নির্বাচন ছাড়া আমরা কিছু ব্যক্তিকে নিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এ সরকার নির্বাচিত না, কিন্তু এদেশের আপামর জনতার সমর্থন আছে এ সরকারের প্রতি।
তিনি বলেন, বিএনপি দেশের সর্ববৃহৎ ও সবচেয়ে জনপ্রিয় দল। তাই মানুষ বিএনপির কাছে অনেক কিছু আশা করে। মানুষ ভাবে স্বৈরাচার পালিয়েছে তাই বিএনপি ক্ষমতায়। আমরা বলতে চাই না, বিএনপি ক্ষমতায় নেই। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছি।