নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মোঃ আবুল হোসেন মিজি হত্যা মামলায় অভিযুক্ত জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম শামীমকে কারাগারে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ফতুল্লা থানা পুলিশ জেলা আদালতে প্রেরণ করা হলে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট হায়দার আলী এর আদালতে আগামী ৯ ডিসেম্বর মামলার শুনানি ধার্য তারিখ রেখে অভিযুক্ত তাইজুল ইসলাম শামীমকে কারাগারে প্রেরণ আদেশ দেন৷
নারায়নগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী কাভার্ডভ্যান শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব ও সদর থানাধীন পাইকপাড়া, নয়াপাড়া এলাকার মৃতঃ শামসুল হক এর ছেলে মোঃ তাজুল ইসলাম শামীমকে গ্রেফতার করে ফতুল্লা মডেল থানা পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় একটি হত্যা মামলায় শামীম নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোর্ট পুলিশ সূত্রে জানাযায়, এ.কে.এম শামীম ওসমানের নির্দেশে গত ১৯ জুলাই ২০০/২৫০ জন স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী অত্যাধুনিক আগ্নোয়াস্ত্র, রিভালবার, পিস্তল, কাটা রাইফেল, রাম দা, চাপাতি, হকিস্টিক, চাইনিজ কুড়াল, তলোয়ার সহ সজ্জিত হয়ে বৈষম্যবিরোধী নিরিহ ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ঝাপাইয়া পড়ে। ককটেল বিস্ফোরণ এবং অনরবরত গুলি বর্ষন করিতে থাকে এবং ছাত্র-ছাত্রীদের তাহাদের সুষ্ঠ ও ন্যায় দাবী থেকে বিতারিত করার জন্য গুলি বর্ষন করে। ঘটনাস্থল হইতে উৎখাত করার চেষ্টা করে। আন্দোলনে নিহত মোঃ আবুল হোসেন মিজি স্থান অতিক্রম করাকালে কুখ্যাত সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমানের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে বাদীনির ছেলেকে লক্ষ করিয়া গুলি করে এবং মোঃ আবুল হোসেন মিজির নাভির উপর পেটে গুলিবিদ্ধ হয়।
তাহাকে প্রো-এ্যাক্টিভ মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হসপিটালে নিয়া যাওয়া হয়, অতঃপর বাদীনির ছেলের অবস্থার অবনতি হইলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করিলে সেখানে মৃত্যুবরণ করে।