তবে, অন্য জেলায় গিয়ে সেবাগ্রহণে নানা রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন সেবাপ্রার্থীরা। পরতে হচ্ছে দালাল চক্রের হাতে। ফলে অনেকেই অপেক্ষা করছেন নারায়ণগঞ্জ কার্যালয় চালুর। প্রায়ই দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে খোঁজ নিচ্ছেন কবে নাগাদ খুলবে পাসপোর্ট অফিস।
অন্য জেলার পাসপোর্ট করতে গিয়ে ভোগান্তিতে পড়েছে রবিন নামে এক যুবক। তিনি বলেন, পাসপোর্ট অফিসের পাশের এলাকায় তাদের বাড়ি। অফিসটি পুড়ে যাওয়ার তার বড় ভাইকে সেই মুন্সিগঞ্জ জেলার গিয়ে দীর্ঘ সময় লাইন ধরে অপেক্ষা করে পাসপোর্টের কাজ সারতে হয়েছে। নারায়ণগঞ্জের পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম চালু হলে এই ভোগান্তিতে পড়তে হতোনা বলে এই যুবক জানায়। এছাড়া দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। তখন টাকা দিয়ে তাড়াতাড়ি কাজ সারতে হয়েছে।
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার দেওভোগ এলাকা থেকে নরসিংদী জেলায় গিয়ে পাসপোর্ট করাতে নানা ভোগান্তিতে পড়েছেন আব্দুস সালাম নামের এক যুবক। তিনি বলেন, যানজট ঠেলে সেই নংসিংদী গিয়ে পাসপোর্টের কাগজ জমা দিয়েছি। সেখানে দালালকে টাকা না দিলে দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়। ফলে টাকা দিয়ে কাজ করাতে হয়েছে। এখনো পুরো কাজ শেষ হয়নি। নারায়ণগঞ্জে পাসপোর্ট অফিস থাকলে এতো ভোগান্তিতে পড়তে হতো না।
এদিকে এক সপ্তাহ ধরে নারায়ণগঞ্জ আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। সংস্কার কাজের তদারকি করছেন শ্রমিক থান্ডু হাওলাদার। তিনি বলেন, ভবনের দেওয়ালের আস্তরন ও টাইলস নষ্ট হয়ে গেছে। সব আসবাবপত্র পুড়ে গেছে। গ্রিল ও দরজা অপসারণের কাজ চলছে। সংস্কার কাজ শেষ করতে প্রায় দুই থেকে তিন মাস সময় লাগতে পারে। তবে বিদ্যুৎ ও পানির সংকটের কারণে কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে।
পাসপোর্ট অফিস সংস্কার কাজ সম্পর্কে নারায়ণগঞ্জ জেলা গণপূর্ত বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী ছাইফুল ইসলাম বলেন, কয়েকদিন আগে পাসপোর্ট অফিসের মেরামত কাজ শুরু হয়েছে। ভবনের স্ট্রাকচার ঠিক আছে। তবে ভবনের পলেস্তারা, টাইলস, গ্রীল, দরজা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পুড়ে ও ভেঙে নষ্ট হয়ে গেছে। এসব সংস্কারের কাজ চলছে। কাজ শেষ করতে প্রায় দুই মাস সময় লাগবে বলে ঠিকাদার জানিয়েছেন। আশা করি, খুব দ্রুত কাজ শেষ করে কার্যক্রম শুরু হবে।