নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক ও নাসিক ২৩নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা তার বক্তব্যে বলেন, স্বৈরাচারী ফ্যাসিবাদ মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশে এই প্রথম এতো বড় বিজয় র্যালী করতে পেরেছি, সেই জন্য মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
পাশাপাশি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এদেশের লাখো শহীদের এবং ৫ আগষ্ট স্বৈরাচারী হাসিনার পেটুয়া বাহিনীর হাতে নির্মম ভাবে শহীদ হওয়া আমার বন্ধু আমানতকে। সেই সাথে ধন্যবাদ জানাই সিনিয়র নেতাদের যারা আমার দাদা মরহুম জালাল হাজী থেকে শুরু করে আমার বাবার সাথে রাজনীতি করেছেন, এবং আমার উপর তারা আস্থা রেখে পাশে ছিলেন। কারন আমার দুঃসময়ে পাশে অনেক আত্নীয়-স্বজনদের পাইনি। কিন্তু সিনিয়র নেতারা সবসময় আমার পাশে ছিলেন।
বিগত সরকারের আমলে নেতাকমর্ীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও গ্রেফতার করেছে, যার কারনে আমরা বিজয় র্যালী সফলভাবে করতে পারিনি। কিন্তু ফ্যাসিবাদ মুক্ত বাংলাদেশে এই প্রথম আমাদের নেতাকমর্ীদের সহযোগীতায় নারায়ণগঞ্জের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা বিজয় র্যালী করতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করছি। তাই আবারো মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।
সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) দুপুর ১ টায় নগরীর কালিবাজারস্থ ফেন্ডস মার্কেটের সামনে বিজয় র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এর আগে বিজয় দিবস উপলক্ষে মহানগর বিএনপির আওতাধীন প্রতিটি থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নগরীর মন্ডলপাড়া এলাকায় জড়ো হতে শুরু করে। পরে মহানগর বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক আবুল কাউছার আশার নেতৃত্বে বিজয় র্যালী নিয়ে নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে চাষাড়া বিজয় স্তম্ভ হয়ে মিশন পাড়া, মেট্রো হল হয়ে কালিবাজার গিয়ে র্যালী শেষ হয়।
এদিকে বিজয় র্যালীকে আনন্দ মুখরিত করে তুলতে দুটি ঘোড়ার গাড়ি, বাদ্যযন্ত্র, জাতীয় পতাকার পাশাপাশি দলীয় পতাকা ও নেতাকমর্ীরা নানা ধরনের ক্যাপ পরিধান করে বিজয়ের আনন্দ উপভোগ করেন।
এসময়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য ও সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ও সাবেক সহ-সভাপতি হাজী ফারুক হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য আমিনুর ইসলাম মিঠু, শহিদুল ইসলাম রিপন, মনোয়ার হোসেন শোখন, মহানগর বিএনপি নেতা হাজী তাহের আলী, আবুল সরদার, সোলাইমান, মোহাম্মদ হোসেন কাজল, সুজন মাহমুদ, তোফাজ্জল মৃধা, খোকা, মনির হোসেন, শফিউদ্দিন সোহেল, ভুলু, তোফাজ্জল হোসেন, শহীদ হাসান খান, দুলাল, বরকত উল্লাহ জনি, বাচ্চু, মাহাবুব, জাহাঙ্গীর ল্যাংটা, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ডলি আহম্মেদ,
মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অহিদুল ইসলাম ছক্কু, সহ-সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান পাবেল, মেহেদী হাসান, আরাফাত চৌধুরী, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হোসেন লিয়ন, রাজীব হোসেন, সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহবায়ক জাহাঙ্গীর হোসেন বেপারী, বন্দর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা পাপ্পু, আলতাফ হোসেন ইব্রাহিম, মহানগর যুবদল নেতা ও সাবেক মহানগর ছাত্রদলের সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম শফিক, দপর্ন প্রধান, নুর আফসার শাওন, সদর থানা ছাত্রদলের সভাপতি রবিন সরকার পায়েল, রমজান আলী, জিসান সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।