আগামীর নির্বাচন অনেক কঠিন হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আগামীর ভোটই শুধু ভোট না। আগামীর নির্বাচন কঠিন নির্বাচন হবে। আগামীর নির্বাচন করেই কী আপনি ক্ষান্ত দিয়ে দেবেন। মানুষ জানতে চায় আমরা কী করব। এখন শুধু কথায় চিড়া ভিজবে না।
বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ শহরের হোসিয়ারী সমিতিতে এক সভায় ভার্চ্যুয়ালী যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, এদেশে স্বৈরাচারের শুধু পতনই হয়নি, স্বৈরাচারের মাথা দেশ থেকে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে। এই স্বৈরাচাররা দেশটাকে ধ্বংস করে দিয়ে গেছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়ে গেছে।
জনগণে আস্থা অর্জন করতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘ভোটের মাধ্যমে জনগণের সমর্থন পাওয়াই হলো জনগণের আস্থার প্রতিফলন। ভোটের মাধ্যমে আস্থা আমাদের অর্জন করতে হবে। সেই ভোটে আস্থা অর্জন করতে হলে মুখে বললে তো হবে না। মানুষ জানতে চায়, আমরা তাদের জন্য কী করব। মানুষ যখন জানতে পারে আপনি বিএনপির কর্মী, তখনই আপনাকে জিজ্ঞেস করে, তোমরা এটার কী করবে বা ওটার কী করবে? আমরা আস্থার একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের এই আস্থাকে ধরে রাখতে হবে।
দলের ভেতরে বিতর্কিতদের সুযোগ দেওয়া যাবেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের অনেক নেতাকর্মী জেল-জুলুমের শিকার হয়েছেন। অনেক কষ্ট করেছেন। এসব নির্যাতন সহ্য করেও জনগণের অধিকার রক্ষায় আপনারা পিছিয়ে আসেননি। এখন আপনারা এমন কাউকে কেন সুযোগ দিবেন যে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য আপনার কষ্টে পানি ঢেলে দেবে। কিছু সংখ্যক লোক নিজের স্বার্থের জন্য আমাদের এত কষ্টের মধ্যে পানি ঢালার চেষ্টা করছে। যে বা যারা আপনার দলকে বিতর্কিত করে তাকে আপনি কেন সুযোগ দেবেন।
অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য (কেন্দ্রীয় দপ্তরে সংযুক্ত) আবদুস সাত্তার পাটোয়ারীর সঞ্চালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ইসমাইল জবিউল্লাহ, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ, ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুম্মান, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির আহবায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান, প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।