নারায়ণগঞ্জ শহরের ডিআইটিতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র মো. ওয়াজেদ সীমান্ত (২০) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এক ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তারের কথা জানিয়েছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার অনিক (২৮) নগরীর সুকুমপট্টি এলাকার নয়নের ছেলে। তার বিরুদ্ধে ছিনতাই, ডাকাতি ও মাদকের অন্তত ৮টি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বুধবার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার (এসপি) প্রত্যুষ কুমার মজুমদার সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান। অনিকের কাছ থেকে নিহতের মোবাইল ফোন ও হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান এসপি।
পুলিশ জানায়, গত বৃহস্পতিবার ভোরে আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি-বাংলাদেশ (এআইইউবি)-এর কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের ছাত্র ওয়াজেদ সীমান্ত তাঁর দেওভোগের বাড়ি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভোর ছয়টার দিকে বাড়ির পাশের ডিআইটি আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারের সামনে দুর্বৃত্তরা ওয়াজেদ সীমান্তকে ছুরিকাঘাত করে। এসময় তার কাছ থেকে একটি মুঠোফোন ও ১৮০০ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত সীমান্তকে প্রথমে নারায়ণগঞ্জ ১০০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শনিবার রাতে ঢামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সীমান্তের মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা হাজী আলম চান বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে রোববার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে অনিককে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
এই ঘটনায় জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারেও পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানান প্রত্যুষ কুমার মজুমদার।
এদিকে সীমান্ত হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও শহরের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে সকালে শহরে বিক্ষোভ করেছে সীমান্তের এলাকাবাসী ও পরিবারের সদস্যরা।