যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মোঃ তরিকুলের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ জেলা মটরস ওয়ার্কসপ ইউনিয়ন এর নেতৃবৃন্দরা।
রবিবার (২২ ডিসেম্বর ) সকালে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা কতৃক মামলায় গাফিলতির প্রসঙ্গে এবং এই ব্যাপারে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে মটর ওয়ার্কসপ ইউনিয়ন এবং মহামগর শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দরা স্মারকলিপি প্রদান করে।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের সভপতি মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, গত (১২ ডিসেম্বর ) নারায়ণগঞ্জ জেলা মটরস ওয়ার্কসপ ইউনিয়ন একটি মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করার পূর্ব নির্ধারিত একটি কর্মসূচি ছিল,সেই মোতাবেক দুপুরে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে শ্রমিক কমিটির কার্যালয়ের সামনে আমাদের লোকজন জড় হতে থাকে। এসময় বিবাদীরা আমাদের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ না করার জন্য নানরকম হুমকি সহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তখন আমরা তাদের সাথে কোনরকম তর্কে না গিয়ে স্থান ত্যাগ করি, এবং আমাদের কর্মসূচিতে চলে যাই। পরে আমাদের কার্যক্রম শেষ করে রাত ৮টার সময় আমাদের শ্রমিক কমিটির অফিসে আসি, এসময় বিবাদীরা অতর্কিতভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাদের অফিস ভাংচুর করে এবং নগদ ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় এবং আমাকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে নীলাফুলা জখম করে। তখন তাদের তান্ডব দেখে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। পরে লোকজন আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে দেওভোগ আখড়া এলাকায় মৃত অনিল চন্দ্র হাওলাদারের ছেলে দিপঙ্কর হাওলাদার (৫০), দেওভোগ পানির ট্যাংকি এলাকার মৃত পাচুর আলীর ছেলে মোঃ স্বপন (৫২), বন্দরের গোপালচন্দ্র দাসের ছেলে উত্তম চন্দ্র দাস (৪৫), গলাচিপা এলাকার মানিক মিয়ার ছেলে ইকবাল (৫৫), জসিম (৫৫), বন্দরের আব্দুল খালেকের ছেলে জুয়েল (৩৫) এবং ফতুল্লা থানাধীন ইসদাইরের নুরুল ইসলামের ছেলে তাজুল ইসলাম (৬০) এর নামে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়।
এ বিষয়ে মহানগর শ্রমিকদলের আহবায়ক এস এম আসলাম বলেন, এই বিষয়ে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত কর্মকর্তা এস.আই মিলন ঘটনাস্থলে তদন্ত করে পুরো ঘটনার সত্যতা পান, কিন্তুু কোন এক অদৃশ্যের কারনে ওনি এখনো তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেননি। এবং সদর মডেল থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এই বিষয়ে কোন মামলা গ্রহন করবে না বলে জানিয়ে দেয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এরুপ কর্মকাণ্ড কখনোই আমাদের কাম্য না। অভিযোগ বিবাদীরা বিগত সময়ে আওয়ামীলীগের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিল, মেয়র আইভীর সাথে আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল। এর প্রমান আমার কাছে আছে। আমরা মহানগর শ্রমিকদল এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে দোষীদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচারের দাবী করছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মহানগর শ্রমিকদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ বিল্লাল, সদর থানা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা শ্রমিকদল নেতা মোঃ শরীফ, মটর ওয়ার্কসপ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন, সহ-সভাপতি মোঃ মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আলমগীর, প্রচার সম্পাদক মোঃ কুদ্দুস, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মুন্না প্রমুখ।