নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার রায়ে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ সকল অভিযুক্তদেরকে আদালত বেকসুর খালাস দেওয়াতে মিষ্টি বিতরণ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন এর যুগ্ম আহ্বায়ক ও মহানগর বিএনপির সদস্য সুজন মাহমুদ৷ এসময় তিনি বলেন, সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলার বাদী তার ভাই তৈমুর আলম খন্দকার। আপনারা জানেন রাজনৈতিকভাবে উনি একজন পল্টিবাজ। উনি স্বনামধন্য রাজনৈতিক দল বিএনপি’র সুযোগ-সুবিধা ভোগ করে বিএনপির দুঃসময়ে গাদ্দারী করেছেন। তারই ধারাবাহিকতায় ততকালীন যারা আওয়ামী লীগের লোকজন ছিল তাদের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী জাকির খানের জনপ্রিয়তা নস্যাৎ করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত মূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন৷ আজ তারই প্রমাণ হলো, জাকির খান যে নির্দোষ ছিলেন৷
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকালে দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন৷ আল্লার কাছে শুকরিয়া আদায় করে ও উল্লাসিত হয়ে আইনজীবীসহ নেতৃবৃন্দরা মিষ্টি বিতরণের সময় তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক ছাত্রনেতা জাকির খানের ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলায় বেকসুর খালাস এর পূর্বে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে সকালে আদালত পাড়ায় উপস্থিত হন জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যুগ্ম আহ্বায়ক সুজন মাহমুদ।
সুজন মাহমুদ আরোও বলেন, আমাদের শ্রমিক নেতা শামীমের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যা মামলা দিয়েছে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু। আগামীকাল সেই মামলায় শামীমকে হাজির করা হবে। শ্রমিকরা কখনোই এ কাজ করতে পারেনা। যারা আওয়ামী লীগের দালাল, তারা আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজু মেইন্টেন করে চলছে। তা নারায়ণগঞ্জবাসীও জানেন এবং বিষয়টি যমুনা টিভিসহ একাধিক গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ মামলার যে বাদী সেও বলেছে কারা এ মামলা করিয়েছে। বাদীর রেকর্ডিংও আমাদের কাছে রয়েছে, যা প্রশাসনসহ বাদী নিজেই এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপুর নাম বলেছে। আমরা বিএনপির দুষ্কৃতিকারী, অনুপ্রবেশকারী, বিএনপি’র দুঃসময় দলে ছিলনা এমন লোকদেরকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি।
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ সকল অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। এছাড়া জাকির খান সহ খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তাঁর সহযোগ লিটন ওরফে জঙ্গল, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আবদুল আজিজ। তাঁদের মধ্যে মনিরুজ্জামান শাহীন মারা গেছেন।