নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ব্যবসায়ী সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খানসহ সকল অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। আদালত পাড়ায় ও শহরে মিষ্টি বিতরণে নেতৃবৃন্দরা মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন।
এ মামলায় আসামি ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। তিনিসহ খালাস পাওয়া অন্য আসামিরা হলেন জাকির খানের দুই ছোট ভাই জিকু খান ও মামুন খান, তাঁর সহযোগী লিটন ওরফে জঙ্গল, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন, নাজির আহমেদ ও আবদুল আজিজ। তাঁদের মধ্যে মনিরুজ্জামান শাহীন মারা গেছেন।
এর আগে জাকির খানের মুক্তির ঘোষণার অপেক্ষায় সদর থানা জাসাস যুগ্ম সম্পাদক আবু সালেহ আহম্মেদ সনেট এর নেতৃত্বে নেতৃবৃন্দ ও ভক্তদের নিয়ে সকাল থেকে আদালত পাড়ায় জড়ো হন।
আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানিয়েছেন শহর বিএনপির ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দের মধ্যে জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রাকিব হাসান রাজ, সদর থানা জাসাস যুগ্ম সম্পাদক আবু সালেহ আহম্মেদ সনেট, সদর থানা যুবদল নেতা ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্য ফয়সাল আহমেদ হৃদয়৷
তারা জানান, জাকির খান সাহেব এ মিথ্যা মামলার ষড়যন্ত্রের বলি হয়ে আমাদের কাছ থেকে ২২ বছর দূরে ছিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের এজেন্ট আমাদের প্রিয় নেতাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রেখেছিলেন। আল্লাহ তায়ালার রহমতে ও নারায়ণগঞ্জ বাসীর দোয়াতে ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলায় খালাস পেয়েছেন তিনি৷ আমাদের নেতা অচিরেই মুক্তি পেয়ে ছাত্র-যুব সমাজ ও স্থানীয়দের নিয়ে পাড়া মহল্লায় কমিটি গঠন করে সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজীর বিরুদ্ধে কঠোর ঘোষনা দিবেন এবং এদেশের আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং সঠিক বিচার পাওয়ার বিষয়টির দৃড়প্রমাণ করবেন৷
আরো উপস্থিত ছিলেন, সানি খন্দকার,জুম্মান আহমেদ, রকি খন্দকার,কাশিপুর ইউনিয়নের মৎস্যজীবী দলের সাবেক সভাপতি বাবুল হোসেন বাবু, সদর থানা জাসাস ক্রিয়া ও শিশু বিষয়ক সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন হোসেন বাবু, ছাত্রদল নেতা সাব্বির, আল আমিন,যুবদল নেতা সোহান, বাবু, সাজু খন্দকার, ডাক্তার নুন্নবী,রাজিব নয়ন,নবিন,অমিত,পিয়াস,জান্নাত,নাসির প্রমুখ।