ফরিদপুরে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে দুই নারীসহ পাঁচজন নিহত ঘটনায় স্বজনদের হারানোর বেদনায় নারায়ণগঞ্জে শহর- বন্দর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। বুকফাটা কান্নায় নিস্তব্ধ হয়ে উঠেছে আশে-পাশের এলাকাগুলো।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদরপুর উপজেলার মুন্সীবাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। ফরিদপুরের গেরদায় ঢাকাগামী ট্রেনের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষের হয় যার হাইস গাড়ি (-১২-১৩৩২ ঢাকা মেট্রো- চ)।
এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও চারজন। তাদের ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।এঘটনায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম।
নিহতরা হলেন- নারায়ণগঞ্জ শহরের ভূঁইয়াপাড়া এলাকার কালু ভূঁইয়ার নাতি ও আবু সাঈদ ভূঁইয়ার স্ত্রী আতিফা রহমান ( ৩৬), সাঈদের চাচতো বোন, ভগ্নিপতি ও বন্দর উপজেলার দড়ি সোনারকান্দা এলাকার আলমগীর হোসেনের স্ত্রী উম্মে তাজসুমা(৩০)।
এছাড়া আহত হয়েছে, খুলনা আটরা ফকির পাড়া এলাকার শাহ আলমের ছেলে ও মাইক্রোবাসের ড্রাইভার নাজমুল ( ৩৩), বন্দর উপজেলার বজলুর রহমানের ছেলে সাদিরা আফরিন (৩০), ফরিদপুর কোতোয়ালী গেরদা এলাকার শেখ জালালের ছেলে শেখ জিন্নাহ (৬০) ও তাসরিন (১৬) (অজ্ঞাত)।
জানা গেছে, গেরদা থেকে একটি সড়ক রেলপথ অতিক্রম করে মুন্সিবাজার এলাকায় মিলেছে। এখানে অনুমোদিত রেলক্রসিং না হওয়ায় রেলবিভাগের কোনো তত্ত্বাবধান নেই। দুপুরে মধুমতী এক্সপ্রেস নামের ট্রেনটি খুলনা থেকে ফরিদপুর হয়ে ঢাকা যাচ্ছিল। মাইক্রোবাসটি (হাইস-১২-১৩৩২ ঢাকা মেট্রো- চ) গেরদা থেকে মুন্সিবাজারের দিক আসছিল। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসটি পাশের খাদে পড়ে যায়। এ সময় মাইক্রোবাসটির সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন নিহত হয়। আহতদের হাসপাতালে পাঠানোর পর আরও দুজন মারা যান।
ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের ফায়ার ফাইটার সালমান হোসেন বলেন, দুপুর ১২টা ২৮ মিনিটে খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মরদেহ উদ্ধার করেছি। ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসটি নিচের খাদে পড়ে যায়। সেটি উদ্ধার করা হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয়রা ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।