নগরীতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) নগরীর মিশনপাড়া এলাকায় নবাব সলিমুল্লাহ সড়কে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশনা, জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কোরআন পাঠ করা হয়। কর্মী সম্মেলনে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানার সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন, প্রধান অতিথি জাতীয়তাবাদী সেচ্ছাসেবক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক রাজিব আহসান ও প্রধান বক্তা কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এম জি মাসুম রাসেল।
সম্মেলনে সেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এমজি মাসুম রাসেল বলেন, আমরা এর আগেও অনেকবার নারায়ণগঞ্জে এসেছি। তখন আমাদের কর্মসূচিতে অনেক বাধা এসেছিল। আমরা যখন কোন কর্মসূচিতে আসি তখন অনেকেই বলতো নারায়ণগঞ্জের অবস্থা খারাপ। আপনারা গেলে সমস্যা হবে। আমরা কিন্তু ভয় পেয়ে যাই নি, কোনো রক্ত চক্ষুকে ভয় পানি। সবসময় ফ্যাসিবাদের বিপক্ষে কথা বলে গেছি। নির্বাচনের পরে আমরা যখন নেত্রীকে বরণ করতে এসেছিলাম। তখন ফয়সাল বলেছিলো এক বছরের মধ্যে এই সরকার থাকবে না। এই কথা বলার ২ মাস পরেই হাসিনা পালিয়ে গেছে। এই শেখ হাসিনা আর দেশে আসতে পারবে না। আমরা চাই একটা সুন্দর, দখল মুক্ত ও চাঁদাবাজ মুক্ত রাজনীতি করতে করতে। আমাদের আচরণের কারণে যেন বাংলার মানুষ ধানের শীষে ভোট দেয়। আমরা জানি কারা আমাদের মিছিলে ছিলেন। এই রানা বাবুর সাথে মিশাল মিছিলের কে কে ছিল আমরা ফুটেজ দেখেছি। চিন্তার কারণ নাই, কোন হাইব্রিড নেতার জায়গা কমিটিতে হবে না। আপনাদের নারায়ণগঞ্জে একজন চাপাবাজ ছিলো, সে বাংলাদেশের জন্য না সারা বিশ্বের মধ্যে বড় চাপাবাজ ছিল। ক্ষমতার জন্য তারা কি করেছে টা আপনারা জানেন।
সভাপতির বক্তব্য মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইসলাম রানা বলেন, আমরা প্রথম ভাইপার হাসিনা নাম দিয়েছি। সেই ভাইপার হাসিনা পালিয়েছে। আমরা বলেছি রাইফেল ক্লাব থাকবে না, এখন ও নাই। আমাদের রাজীব ভাইয়ের মত নেতৃত্ব আমি আগে কখনো দেখি নি। রাজীব ভাইয়ের কাছে আবদার থাকবে আমাদের দলের কিছু নেতা বিভিন্ন মামলায় কাশিমপুর কারাগারে আছে। তার ছোট মেয়ের বয়স আজ ১৭ বছর। তার যেন মিথ্যে মামলায় আর জেল খাটতে না হয়। ৫ তারিখের আগে যারা রাজপথে থেকেছেন তারাই কমিটিতে থাকবেন। আমার কোনো ভাই-বোন নাই, আমি দলের কথা বলি। দেশ নায়ক তারেক রহমান বীরের বেশে দেশে ফিরে আসবেই।
কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক গোলাম রহমান রাজীব বলেন, আপনাদের অভিযোগ গুলো আমরা শুনেছি। আমরা হাইব্রিড নেতাদের ফুটেজ আমাদের কাছে আছে। নারায়ণগঞ্জে আমাদের কোনো আত্মীয় নেই। আপনাদের থেকেই আমাদের কমিটি গঠন করতে হবে। তবে কমিটির জন্য কোন হাইব্রিড নেতার নাম যেন আমাদের কাছে না আসে। যদি আসে তাহলে যারা নাম দিবে তার বিরুদ্ধে আগে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৫ তারিখের আগে যারা ছিল তারা আজ আমাদের সামনে থাকবে।
কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বলেন, তারেক রহমান অনেক আগেই টেক ব্যাক বাংলাদেশ ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু হাসিনা যেদিন ক্ষমতায় আসে সে দিন তারেক রহমান ঘোষণা দিয়েছে রাজপথে থাকার। তিনি এই দেশের জনগণের মনের ভাষা বুজতেন। খুনি হাসিনা পালিয়েছে এতে আমাদের প্রাথমিক বিজয় হয়েছে। কিন্তু এখনো চূড়ান্ত বিজয় আসে নি। তারেক রহমানের নির্দেশে আমরা ছাত্র আন্দোলন করেছি। আমরা আন্দোলনে করেছি বলেই হাসিনা পালিয়ে গেছে। নেত্রী দেশে আসবে কেউ এই মিথ্যা স্বপ্ন দেইখেন না।
সম্মেলনে মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মমিনুর রহমান বাবুর সঞ্চলনায় আরও উপস্থিত ছিলেন, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি এড সামলা সোমা, কেন্দ্রীয় সংসদের স্বাস্থ বিষয়ক সম্পাদক ড. মিজান, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক গোলাম, সদস্য সফিকুল ইসলাম দেওয়ান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক মাশুকুল ইসলাম রাজীব, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফাতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন, মহানগর সেচ্ছসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুর রহমান সুমন, মিঠু ও বিভিন্ন থানা পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।