বিএনপির চেয়ারপাসর্ন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যানার সরাতে গিয়ে গণধোলায়ের শিকার সঞ্জয় দত্ত নামে এক যুবক। পরে ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে সদর থানা পুলিশ।
বৃহস্পতিবার( ২৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জে নগরীর ডিআইটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার বিবরনে জানা যায়, মন্ডল পাড়া ফায়ার সার্ভিস এলাকার গনেশ দত্তের ছেলে সঞ্জয় দত্ত (৩৬)।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ৪ নং ডিআইটি এলাকায় সাটানো বিএনপির চেয়ারপাসর্ন বেগম খালেদা জিয়ার ব্যানার সড়ানোর জন্য স্থানীয় দোকানদারদের গালিগালাজ করতে থাকে। পরে জনতার তোপের মুখে ঘটনাস্থল থেকে চলে যান। এরই ধারাবাহিকতায় বিকেলে পূণরায় সঞ্জয় নিজে ব্যানার সড়ানোর জন্য আসে। এসময় উচ্ছুক জনতা তাকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
এসময় খবর পেয়ে স্থানীয় বিএনপি নেতা সুজন মাহমুদ জনরোষানল থেকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। এসময় তিনি গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, আমি বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে যাই এবং তাকে উদ্ধার করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করি। এর কারন গণ ধোলাইয়ের কারনে ছেলেটি যেকোন ঘটনা ঘটতে পারতো। তাই আমি নিজ উদ্যোগে তাকে পুলিশে সোপর্দ করেছি। এখন সে কে বা কার ইন্ধোনে এই ধরনের কাজ করছে সেটা বের করার দায়িত্ব প্রশাসনের।
তিনি আরোও জানান, নারায়ণগঞ্জে যুবলীগ ও ছাত্রলীগ
সংগঠিত হচ্ছে। এবং তারা ডিসি অফিস কার্যালয় মূল ফটকে পোস্টার সাটান। ছাত্র -জনতার আন্দোলনের ২৪ শে স্বাধীনতাকে ধূলিসাৎ করার পাঁয়তারা লিপ্ত রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রশাসন ও গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় নজরদারি রাখবে। আমরা জানতে পাড়ি বিভিন্ন পাড়া মহল্লায় যুবলীগ – ছাত্রলীগ ওসমান পরিবারের নির্দেশ পালন করতে গোপন আত্মগোপনে থাকা নেতা কর্মীরা গোপন মিটিং করছে।
সদর থানা স্বেচ্ছাসেবক দল যুগ্ন আহ্বায়ক জাহাঙ্গী বেপারি জানান, আমরা খবর পেয়ে কার্যালয়ে এসেছি। এসময় যে ঘটনা ঘটিয়েছে দুসাহসিকতা দেখিয়েছে। এর পেছনে কোন ইন্ধন রয়েছে কিনা তা প্রশাসনকে খতিয়ে দেখার আহ্বান জানাই।
আটককৃত ছেলের বাবা গনেশ দত্ত বলেন, আমার ছেলে যেটা করেছে সেটা মোটেও ঠিক হয়নি বলে জানান।