ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৯তম আসর জমে ওঠেছে। তবে মেলায় ক্রেতা – দর্শনার্থীদের জন্য বিশ্রামাগার ও বসার ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তি বেড়েছে । এতে মেলা প্রাঙ্গনের মেঝেতে বসে দর্শনার্থীদের বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার পূর্বাচল উপ-শহরের ৪ নম্বর সেক্টরে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে বাণিজ্য মেলা প্রাঙ্গনে দর্শনার্থীদের এই ভোগান্তির চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বিকেল থেকে মেলার গেটে টিকেট সংগ্রহ করতে কাউন্টারগুলোতে দর্শনার্থীদের ভিড় দেখা গেছে। ভিড় মাড়িয়ে মেলায় প্রবেশ করতে স্টলগুলোতে ভিড় দেখা গেছে। তবে মেলা প্রাঙ্গনের বিভিন্ন স্থানে কাগজ বিছিয়ে মেঝেতে বসে বিশ্রাম নিতে দেখা গেছে। আবার অনেকে ঘুমিয়ে আছেন, কেউ আবার বসে বসে খাবার খাচ্ছেন।
মেয়েকে নিয়ে মেলায় ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন স্বর্ণা বেগম। তিনি বলেন, সকালে মেয়েকে নিয়ে মেলায় ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করেছি। এতে বেস্ট ক্লান্ত হয়ে পড়েছি। কিন্তু মেলার ভেতরে ওয়েটিং রুম কিংবা বিশ্রামাগার না থাকায় মেঝেতে বসে বিশ্রাম নিচ্ছি।
একই কথা বলছেন পাশে বসে থাকা আরেকটি পরিবারের সদস্যরা। ওই পরিবারের কর্তা ব্যক্তি সেলিম আহমেদ বলেন, মেলায় আসা ক্রেতা দর্শণার্থীদের জন্য বসার কোনো ব্যবস্থা নেই। যে কারণে আমাদের মত আরও অনেক পরিবার বাধ্য হয়ে বিশ্রাম নেওয়ার জন্য কাগজ বিছিয়ে মেঝেতে বসে পড়েছে।
এদিকে মেলার শেষ সময়ে বেচা বিক্রির ধুম পড়েছে উল্লেখ করে রায়হান ফ্যাশন নামে কাপড়ের দোকানের বিক্রেতা মনির হোসেন বলেন, মেলায় লোক সমাগম বেড়েছে। আগের তুলনায় বেচা বিক্রি ভালোই হচ্ছে। মেলার শেষ দিকে বেচা বিক্রি আরও বাড়বে।
মেলার একাধিক স্টলের ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানায়, মেলায় ক্রেতা- দর্শনার্থীদের বসার ও বিশ্রাম নেওয়ার কোন জায়গা নেই। আয়োজকরা বিশ্রামের কোন ব্যবস্থা রাখেনি। এটা রাখা দরকার ছিল।
এ বিষয়ে বাণিজ্য মেলার পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, ‘বাণিজ্য মেলা পুরোদমে জমে উঠেছে।’ তবে মেলায় ক্রেতা- দর্শনার্থীদের বসার ও বিশ্রামাগারের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখন বাইরে আছি। পরে ফোন দিয়েন।
প্রসঙ্গত, এবারের মেলার আসরে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ৩৬২টি প্যাভিলিয়ন, স্টল ও রেস্তোরাঁ আছে। ই-টিকেটিংয়ের মাধ্যমে ঘরে বসে টিকিট কেটে সহজেই মেলায় প্রবেশ করা যাচ্ছে। মাসব্যাপী এই মেলা সকাল ১০টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত চলছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন খোলা থাকছে রাত ১০টা পর্যন্ত। মেলায় প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য টিকিটের মূল্য ৫০ টাকা এবং ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য ২৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।