তৈমুর আলম খন্দকার এর বিএনএফ কর্মী নারায়ণগঞ্জ সদর থানা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি হওয়ার খায়েশ। দীর্ঘ ১৭ বছর স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রামে থাকা নেতা-কর্মীরা বিভিন্ন কমিটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বলে স্বেচ্ছাসেবকদলের নেতৃবৃন্দদের মাঝে ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
গত ২১ই জানুয়ারি মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জ মহানগর স্বেচ্ছাসেবকদলের আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে অতিথীরা তাদের বক্তব্যে বলেছেন বাংলাদেশে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ভাবে ঢাকার পর অনেক গুরুত্বপূর্ণ হলো নারায়ণগঞ্জ। মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দল ১৭ বছর এই রানা ও বাবুর নেতৃত্বে রাজপথে ছিল কিন্তু তখন অনেকেই ছিলো না। বিগত সময়ে নারায়ণগঞ্জে গুলি চালানো ছিলো ডাল-ভাতের মত ব্যাপার। তারা মানুষকে মানুষ বলে গণ্য করতো না, নির্বিচারে গুলি করতো। এই রানা বাবু ঐ সময়কালে নারায়ণগঞ্জ এর মাটিতে মশাল মিছিল করেছে। তারা সংখ্যায় যাই হোক না কেন সেটার কৃতিত্ব সেচ্ছাসেবক দলকে দিতেই হবে।
এরই ধারাবাহিকতায় স্বেচ্ছাসেবকদলের একাধিক নেতৃবৃন্দরা জানান, নেতাদের বক্তব্য শুনে নেতাকর্মীদের মাঝে আস্থা ফিরে আসলেও সুবিধাবাদী কিছু নব্য নেতার উত্থানে মহানগরের নেতৃবৃন্দ কাছে বঞ্চিত হচ্ছে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের সৈনিক ও রাজপথের বীর যোদ্ধারা । গত বছর ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৫ই আগস্ট স্বৈরশাসক ও দোসরদের পলায়নের পর থেকে আত্মগোপনে থাকা নামধারী এ নেতারা ইঁদুরের গর্ত থেকে বেরিয়ে আসতে শুরু করেছে৷ সুবিধা নিতে আসা বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতে মরিয়া হয়ে পড়ে এবং বিগত ২০১৪ সালের পর থেকে কোন আন্দোলন সগ্রামে ছিলেন না সুবিধাভোগী নামধারী নেতা মাহাবুব হাসান জুলহাস।
পল্টিবাজ নেতাদের উত্থান ঘটলে তাদের কারনে রাজপথের প্রকৃত কর্মীরা তাদের নেতার কাছে গিয়ে সুখ-দুঃখের কথাও বলতে পারছেনা বলে একাধীক সূত্রে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সুবিধাভোগী নামধারী নেতা মাহাবুব হাসান জুলহাস এখন পদ-পদবীর জন্য লবিং তদবিরে ব্যস্ত।
স্বেচ্ছাসেবকদলের একাধিক নেতারা আরোও জানান, মাহাবুব হাসান জুলহাস কখনোই আমাদের সাথে হরতাল, অবরোধ, মশাল মিছিল সহ কোন সমাবেশে কখনই উপস্থিত ছিলেন না৷ স্বেচ্ছাসেবকদলের সাথে তার কখনোই কোন সম্পর্ক ছিল না৷ কাজেই মাহাবুব হাসান জুলহাস আমাদের এ সংগঠনে এসে যেন কোন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে সেইদিকে নেতাদের দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাই। এছাড়া মাহাবুব হাসান জুলহাস জনপ্রতিনিধির মাধ্যমে ওসমান পরিবারের সাথে গভীর সম্পর্ক রেখেছিলেন এবং বিএনএফ এর তৈয়মুর আলম খন্দকারের ঘনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করেছেন। এমন লোকের কাছে একটি সংগঠন কিভাবে নিরাপদ থাকতে পারে? কখনও এদল কখনও ঐদল, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন নেতাদের কাছে ভিরেছেন এই জুলহাস।