নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানায় দায়েরকৃত ষড়যন্ত্র মূলক হত্যা মামলায় দুই মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্তি পেয়েছেন সদর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা তাইজুল ইসলাম শামীম।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারী) নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে সাড়ে ৭ ঘটিকায় তিনি বের হয়ে আসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন এ্যাডভোকেট সামছুন নুর বাঁধন।
এ সময় কারাফটকে তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ২৩ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আবুল কাউছার আশা৷ সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন নেতা সুজন মাহমুদ সহ বিএনপি, শ্রমিকদল, শ্রমিক নেতৃবৃন্দ ও স্বজনেরা।
এসময় মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাউছার আশা বলেন, আমাদের শামীম ভাই দীর্ঘ দুইমাস কারা ভোগ করেছে। বিষয়টি একদিকে আনন্দের অন্যদিকে দুঃখের বিষয়। বিএনপি জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসি। একজন শ্রমিক দলের নেতাকে মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের দোসর যারা আছেন এ মামলার ভ্যালু নষ্ট করার জন্য এবং আওয়ামী লীগ থেকে মোটা অংকের অর্থের মাধ্যমে মামলার যেনো ভ্যালু না থাকে নিরপরাধ ও দলীয় নেতাসহ এ ছাত্র হত্যা মামলার আসামী করা হয়েছে। শামীম ভায়ের মত অনেক বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাসহ বিএনপি সমর্থিত লোকদের এ মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বলব এধরণের মামলা গুলা নেওয়ার আগে যাচাই বাছাই করার।
মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সুজন মাহমুদ বলেন, শামীম ভাইকে যারা গ্রেফতার করিয়েছে ইতো পূর্বে যমুনা টিভিতে ও পত্র-পত্রিকায় প্রকাশ পেয়েছে। আমরা চাই এঘটনার সাথে যারা জড়িত তাদের দ্রুত দলীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। আসলে তারা আওয়ামী লীগের দোসর। তাই আওয়ামী লীগের লোকজনদের বাচানোর জন্য বিএনপির লোকজনদের জড়ানোর কু-কৌশল। কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দগণ এবিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিবে সেই আশা করছি।
মুক্তি পাওয়ার পর তাইজুল ইসলাম শামীম বলেন, ১৯৯৭ সাল থেকে বিএনপি করি। শ্রমিকদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বর্তমানে শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। আমাকে যিনি গ্রেফতার করিয়েছেন তার নামটা না বললেই নয়। উনি ৮ই আগস্টে ট্রাক ইস্ট্যান দখল করতে গিয়েছিল। তার নাম আবু আল ইউসুফ খান টিপু। পরে টাকার জন্য ওনার লোকজন দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছে। বিনিময়ে ইস্ট্যানে আর কোন ঝামেলা করবেনা। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি হই নাই। দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় আজকে আমাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের দোসর, কর্মী উনার সাথে থাকা আজমেরী ওসমানের কর্মী ইব্রাহিম পাগলা, বাইদা মাসুদ, আলতু মিয়ার ছেলে রাজিব এরা এখনও জড়িত। সে আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে রাজনীতি করে কি ভাবে? আমাদের মত বিএনপির লোকজনদের গ্রেফতার করায়। এটার বিচার চাই সকলের কাছে। কারাবাস জীবন খুব কষ্টোদায়ক। আমার জন্যে অনেকেই কষ্ট করেছে৷ সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই এবং বিএনপির আবু আল ইউসুফ খান টিপুকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানাই। তার কারনে বিএনপির সমর্থিত অনেক লোক কারাগারে রয়েছেন।
এ্যাডভোকেট সামছুন নুর বাঁধন বলেন, মহামান্য হাইকোর্ট তাকে জামিন দিয়েছেন এবং নিয়মিত হাজিরা দিবেন তিনি। আজকে তাইজুল ইসলাম শামীম ভাই কারা মুক্ত হয়েছে। এ মামলা গুলোতে তারা যাতে ন্যয় বিচার পায়৷ যারা স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে সব সময় লড়ে গিয়েছে, দলীয় কিছু লোক তাদের নিজস্ব সুবিধা নেওয়ার জন্য এবং বাণিজ্য করার জন্য যে নোংরা খেলায় মেতে বিভিন্ন নেতাকর্মীদের হয়রানি করছেন এ ধরনের দলীয় লোকদের থেকে সাবধান থাকবেন।