সদ্য কারা মুক্ত নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম শামীম ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন বলে ঢাকায় বিএনপির প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ জানিয়েছেন বিএনপি ও শ্রমিকদলের নেতৃবৃন্দরা।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকায় বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সদ্য কারা মুক্ত তাইজুল ইসলাম শামীম দলীয়ভাবে প্রতিহিংসা ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে মিথ্যা মামলায় কারাভোগের অভিযোগ করেছেন নরসিংদী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এর কাছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা শ্রমিকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন সদস্য সচিব তাইজুল ইসলাম শামীম, মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ট্রাক, ট্যাংকলরী ও কাভার্ড ভ্যান শ্রমিক ইউনিয়ন যুগ্ন আহ্বায়ক সুজন মাহমুদ, শ্রমিক ইউনিয়ন এর যুগ্ন আহ্বায়ক মেহেদী হাসান লিটন, সদস্য মোঃ রফিক, মোঃ হারুন, মোঃ আবুল কালাম, মোঃ ছাত্তার, মন্টু প্রমুখ।
কারা মুক্ত তাইজুল ইসলাম শামীম বলেন, টিপু ভাই ৮ই আগস্ট ট্রাক ইস্ট্যান দখল করতে গিয়েছিল। ট্রাক ইস্ট্যান দখলে ব্যর্থ হয়ে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে একটি মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। পরে টাকার জন্য ওনার লোকজন দিয়ে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। বিনিময়ে ইস্ট্যানে আর কোন ঝামেলা করবেনা। আমি সেই প্রস্তাবে রাজি হই নাই। দাবীকৃত ১০ লক্ষ টাকা না দেওয়ায় আজকে আমাকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং আওয়ামী লীগের দোসর, কর্মী উনার সাথে থাকা আজমেরী ওসমানের কর্মী ইব্রাহিম পাগলা, বাইদা মাসুদ, আলতু মিয়ার ছেলে রাজিব এরা উনার সাথে এখনও জড়িত। সে আওয়ামী লীগের লোক নিয়ে রাজনীতি করে কি ভাবে? আমাদের মত বিএনপির লোকজনদের গ্রেফতার করায়। এটার বিচার চাই সকলের কাছে। আমরা বাদীর সাথে কথা বলেছি এবং জানতে পাড়ি যে আবু আল ইউসুফ খান টিপু এ মামলা দিয়েছে।
এড. সামছুন নূর বাঁধন বিএনপি পরিবারের সদস্য, এড. আবুল কালাম সাহেবের মেয়ে ও কাউছার’র বোন৷ তার অক্লান্ত পরিশ্রমের ফলে কারা মুক্ত হতে পেরেছি।
সুজন মাহমুদ বলেন, তাইজুল ইসলাম শামীম ষড়যন্ত্রের শিকাড় হয়ে গত ২ মাস কারাগারে ছিলো। আজ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দর কাছে গিয়ে নারায়ণগঞ্জের বিষয়ে অবগত করেছি। আবু আল ইউসুফ টিপু, শামীম’র কাছে ১০ লক্ষ টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মিথ্যা মামলা দিয়েছে। বিএনপির নেতা হয়ে আরেকজন বিএনপির নেতাকে কিভাবে এ ধরণের মামলা দেওয়া হয়? আপনারা দেখেছেন শামীম ওসমান ও তার ভাতিজা আজমেরী ওসমানের প্রেতাত্মারা বিগত সময় ট্রাক ইস্ট্যান দখল করে লুট-পাট করে খেয়েছে তাদের দিয়ে কমিটি করার জন্য বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য নিল-নকশা করছে এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দদের নারায়ণগঞ্জের প্রতি সুদৃষ্টি রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।
তাইজুল ইসলাম শামীম কেনো এবং কি ভাবে কারাগারে গেলেন এবং নারায়ণগঞ্জে বিএনপি সমর্থিত অনেক লোকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দেওয়া হয়েছে এ সকল তথ্য তুলেধরা হয় কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন এর কাছে।
এসময় কেন্দ্রীয় নেতা বলেন এটা দুঃখ জনক। তাছাড়া ছবি যে কারো সাথে থাকতেই পারে তাই একজনকে এভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে হবে। আমার সাথেও ছবি আছে তাই বলে কি আমি অপরাধী? ছবি দিয়ে অপরাধী বানানো যায় না। এ বিষয়ে আমরা নিবির ভাবে দেখার আশ্বস্ত করেছেন নারায়ণগঞ্জের নেতৃবৃন্দদেরকে।