জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেছেন, আমাদের কৃষকদের অনেক দক্ষতা আছে। পাট জাতের যে হারানো জৌলুস সেটা আবারো সোনালি আশে পরিনত হয় সেই প্রত্যাশা করছি।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে পাট পণ্যের ব্যবহার বৃদ্ধিতে জনসচেতনতা মূলক সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বিশ্বের বাজারে পাট শিল্পকে বাচাতে চাইলে কোয়ালিটি ইনশিউর করতে হবে। কি পরিমান চাহিদা আছে সেটার রিচার্জ করতে হবে।
এ সময়ে আটা ময়দা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন মন্টু জানান, আমাদের প্লাস্টিকের ব্যবহৃত বস্তাগুলা পচন শীল। বস্তা ব্যবহার করবো, কিন্তু সেটা আমাদের সহনীয় মাত্রায় হতে হবে। আজকে প্লাস্টিকের বস্তা পাওয়া যায় ২৫ টাকা কিন্তু পাটের বস্তার দাম ১২০ টাকা। তাহলে কিন্তু ব্যবসায়ীরা পাটের বস্তার দিকে ঝুকবে?বড় বড় মেইল মালিকরা যারা চিনির ব্যবসায়ী তাদের নিয়ে মিটিং হয় না। আমাদের নিয়েই মিটিং করা হয়। আপনারা পাট যাতপণ্যকে আরো ভালো ও মজভুত করেন এবং দাম কমান দেখবেন আপনাদের খোজবে মানুষ।
বাংলাদেশ পাট গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিজেআরআই) পরিচালক ড. মো. তারিক হোসেন বলেন, আমাদের নারায়ণগঞ্জ হচ্ছে প্রাচ্যের ড্যান্ডি। এখানে পাটের সুযোগ সুবিদা ছিল। এখন সেই সব নাই। আধুনিকআয়ন না থাকায় সব বন্ধ হয়ে গেছে। বর্তমানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তি বের হয়েছে। একসময় স্রোতের মধ্য দিয়ে পাট ধূত করা হত। এখন স্রোত নাই। পাটও নাই। অনেক মেইল মালিক নদী দূষণ করছে সেটা আপনারা বলেন না। একটি পাটের ব্যাগ ৩০ টাকায় তিন মাস ব্যবহাার করতে পারেন। এটার ব্যাপক ভাবে প্রচার করতে হবে তবেই পাট যাত পণ্যের চাহিদা ফিরে আসবে।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সাবিক আল রাব্বী, নারায়ণগঞ্জ পাট অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. মিজান উদ্দিন, বাংলাদেশ জুট এসোসিয়েশন কার্যনির্বাহী সদস্য ইকবাল হোসেন ভূইয়া, বাংলাদেশ এক্সপোর্ট জুট মিলস লি. প্রশাসনিক কর্মকর্তা খোরশেদ আলম, জেলা মৎস কর্মকর্তা ফজলুল কবির সহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, নারায়ণগঞ্জ পাট অধিদপ্তর সহকারি পরিচালক মিজান উদ্দিন, বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশন কমিটির সদস্য ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া, আটা ময়দা মিল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন, খোরশেদ আলম, জেলা মৎস্য অফিসার ফজলুল কবির, আরিফ হোসেন, এএইন এম রাদেশ, জহিরুল হক প্রমুখ।