নারায়ণগঞ্জ শহরের ১৮নং ওয়ার্ডে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় হোসিয়ারী শ্রমিক রাকিবসহ ২ জনকে কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে৷ জানাগেছে, হামলাকারীরা হলেন মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী সবুজ গং।
গত ৭ ফেব্রুয়ারি বিকালে পশ্চিম মুসলিমনগর পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন ভাটা কোম্পানির মাঠে এ ঘটনাটি ঘটে।
হামলার ঘটনায় পশ্চিম মুসলিমনগর এলাকার মৃত আক্কাছ মিয়ার ছেলে মোঃ রাকিব (১৯) গুরুতর আহত হয়ে ঢাকা পঙ্গ হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। এছাড়া পিতৃ-মাতৃহীন এতিম বন্ধু রাকিবকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুত্বর আহত হন জিহান (১৮)।
এঘটনায় নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন পশ্চিম মুসলিমনগর পাওয়ার হাউজ সংলগ্ন এলাকার নাজির ওরফে নাইজ্জার ছেলে সবুজ (৩৫), সবুজের শ্যালক মেহেদী, (১৮), চান্দুর ছেলে ইমন (১৮), সহ অজ্ঞাতনামা ৮/১০ জন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুসলিমনগর এলাকায় ভাটা কোম্পানির মাঠে রাকিব ও বন্ধু জিহান ঘুড়ি উড়াতে গিয়ে উল্লেখিত অভিযুক্তরা তাদের বাধা প্রদান করে। তাদের মাদক বিক্রিতে সমস্যা হওয়ায় বিবাদীগণ আমাদের নানা ধরনের ভয়-ভীতি হুমকি প্রদান করে এবং মাঠে যেতে বাধা প্রদান করে। আমরা স্থানীয় ছেলেরা ছুটির দিন হওয়ায় মাঠে ঘুড়ি উড়াতে যাই। একপর্যায় বিবাদীগণ ক্ষিপ্ত হইয়া আমাদের এলোপাথারী মারধর শুরু করে। এসময় ১নং বিবাদী সবুজের নেতৃত্বে উল্লেখিত সহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীরা ধারালো ছুরি, চাইনিজ কুরাল, চাপাতি দিয়ে প্রথমে রাকিবকে এলোপাথারী ভাবে কোপায়। সবুজের হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে রাকিব ও জিহানকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ দিলে তা প্রতিহত করাকালে সবুজের কোপে রাকিবের ডান হাতের আঙ্গুল, হাত সহ শরিরে বিভিন্ন জায়গায় গুরুত্বর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। এবং সবুজের শ্যালক মেহেদী হাতে থাকা চাইনিজ কুরাল দ্বারা হত্যার উদ্দেশ্যে কোপ দিয়া বাম হাতের পিছনের দিকের বাহুতে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম করে। রাকিবকে বাঁচাতে আসলে বন্ধু জিহান ৩নং অভিযুক্ত ইমনের হাতে থাকা চাপাতি দ্বারা কোপ দিয়া জিহানের মাথার সামনের বাম দিকে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। তখন আমরা রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে গেলে মাদক ব্যবসায়ী অপরাধীরা আমাদের হত্যা নিশ্চিত ভেবে মাটিতে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন আগাইয়া আসলে আমাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিয়া গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ঢাকা মেডিকেলে রেফার্ড করে মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসার শেষে সেখান থেকে পঙ্গ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। বর্তমানে পঙ্গ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে রাকিব।
সূত্রে আরোও জানা যায়, ভাটা কোম্পানির মাঠে সবুজ গংদের মাদকের রমরমা ব্যবসা চলে। প্রশাসনও তা অবগত আছে। প্রশাসনকে ম্যানেজ করে সবুজ তার মাদক ব্যবসা দিব্যি চালিয়ে যাচ্ছে। এলাকার স্থানীয়রা মাদক কারবারিতে বাধা সৃষ্টি করলে ঐসমস্ত নিরিহ ব্যাক্তিদেরকে প্রশাসন দিয়ে হয়রানি করে। এমনকি ওর সাথে গভীর সখ্যতা রয়েছে এমন পুলিশের কর্মকর্তাকে ব্যবহার করে মাদক মামলায় চালান করে নয়তবা মোটা অংকের টাকা বানিজ্য করে। পশ্চিম মুসলিযনগর পাওয়ার হাউজ এলাকার কুখ্যাত মাদক ব্যবসায়ী ও একাধিক মামলার আসামী নাজির ওরফে নাইজ্জার ছেলে সবুজের নেতৃত্বে ঐ এলাকার কিশোর গ্যাং এর লিডার মাদক ব্যবসায়ী সবুজের শ্যালক মেহেদীরও রয়েছে আধিপত্য। নিরাপত্তা ও মাদকের স্পট জোন হিসাবে এ মাঠকে বেছে নেওয়া হয়। মেহেদীকে দিয়ে গড়ে তুলেন কিশোর গ্যাং এবং তার দ্বারা সর্বখন নিরাপত্তায় থাকে বাটা কোম্পানির মাঠ।