আওয়ামী লীগ নেতার বাড়িতে দাওয়াতের পর এবার আরেক লঙ্কাকান্ড ঘটনা ঘটেছে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়নে৷ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বিপ্লবকে ছাড়িয়ে নিতে গিয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান ও তার সহযোগীরা থানায় তদবীর।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে আলীরটেক ইউনিয়ন থেকে ছাত্রলীগের শফিকুল ইসলাম বিপ্লবকে গ্রেফতার করে সদর মডেল থানার পুলিশ।
তথ্যের ভিত্তিতে এঘটনার সত্যতা প্রমান মেলে সদর মডেল থানায়, যা ভিডিও সহকারে ধারণ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের সমর্থিত নৌকার চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এর এক ঘনিষ্ঠ, বিশ্বস্ত এবং আস্থাভাজন হিসেবে সক্রিয়ভাবে এজেন্ডা বাস্তবতায়নে কাজ করতেন আলীরটেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বিপ্লব। কেউ শেখ হাসিনার নিয়ে বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিলে সেইসময় তার বিরুদ্ধে জামায়ত-বিএনপি জঙ্গি বলে হামলা মামলা করাতেন। এছাড়া রয়েছে তার বিরুদ্ধে মামলা বানিজ্যের অভিযোগ।
বিএনপির পদধারী নেতা হয়ে ছাত্রলীগের সভাপতিকে ছাড়িয়ে নিতে আসলে এবিষয়ে বিএনপির আব্দুর রহমান বলেন, শফিকুল ইসলাম বিপ্লব ছাত্রলীগ করলেও সে লোক ভালো৷ তাছাড়া তার বাড়িতে দুই জন স্টোকের রোগী তাই আমাদের এখানে আসা।
সুবিধাবাদী বিএনপি’র নামধারী আওয়ামী লীগের দোসর নৌকার চেয়ারম্যান জাকির’র বিশ্বস্ত লোক ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার হত্যা মামলার আরেক আসামী জুলহাস বলেন, আমিও এ মামলার আসামী। ভাই একটু ছাড় দিয়েন। এছাড়া চ্যালেঞ্জ করে বলেন মান্নান মেম্বার আওয়ামী লীগের কেহ না। সে আওয়ামী লীগ করত না।
বিএনপির নেতার এহেন কর্মকান্ডে আলীরটেক ইউনিয়ন কারা নির্যাতিত বিএনটির নেতারা জানান, আব্দুর রহমান মূলত আওয়ামী লীগের দোসর এবং জাকির চেয়ারম্যান এর আস্থাভাজন। তাদেরকে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমানের চিহ্নিত দোসর জাকির চেয়ারম্যান পাঠিয়েছে। তদন্ত করলে এটারও প্রমাণ পাবেন আপনারা। এছাড়া জুলহাস মূলত সুবিধাবাদি লোক সে নৌকার চেয়ারম্যান জাকিরের সাথে মিলে অনেক বিএনপি নেতাদেরকে হামলা মামলা দিয়েছেন। এক সময় সেলিম ওসমান ও শামীম ওসমান জামায়ত-বিএনপি কে নিধন করতে লিস্ট তৈরী করার কাজে ও বিএনপির নেতাদের অবস্থান চিহ্নিত করতেও সহযোগীতা করতেন। তাই বিএনপির নামধারী নেতাদের দ্রুত বহিস্কারের দাবী জানাই এবং সকল দোসরদের গ্রেফতারের দাবী জানাই।
আসামীকে ছাড়িয়ে নিতে জোড় তদবির ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করতে আসেন আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান এর নেতৃত্বে জুলহাস, শাহীন সরকার ও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সহ আরোও অনেকে কিন্ত জুলহাস ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
আলীরটেক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বিপ্লব’কে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছির আহমেদ।