নারায়ণগঞ্জ সদর ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলে বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ , পিস্তল, রাইফেল ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রের বহর নিয়ে গুলি বর্ষণে এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে চিহ্নিত সন্ত্রাসী এস এম রানা নামক এক আসামীকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।
রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এর আদালত রিমান্ড শুনানি শেষে ককটেল বিস্ফোরণ, পিস্তল, রাইফেল ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্র ও হত্যার দায়ে চিহ্নিত অপরাধী এস এম রানা নামের আসামীকে ৩ দিনের পুলিশ রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আদালত জিআরপি পুলিশ সূত্রে জানাযায়, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে আসামীকে সাত দিনের পিবিআই পুলিশ রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেন। পরে ম্যাজিস্ট্রেট মামলার সুষ্ঠ তদন্তের স্বার্থে গ্রেফতারকৃত আসামীকে তিন দিনের পিবিআই পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ প্রদান করেন।
গ্রেফতারকৃত হত্যা ও পিস্তল, রাইফেল, বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রে সহ ককটেল বিস্ফোরণ মামলার রিমান্ডের আসামী হলেন, নারায়ণগঞ্জে সদর থানাধীন ১৮নং ওয়ার্ডের ৫৩/৩ এস.জি. রোড তামাকপট্রি এলাকার কমল সরদার ওরপে ড্রাইভার কমল সরদারের ছেলে ও নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সহ-সভাপতি এস.এম. রানা (৪৫)।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পিবিআই সূত্রে জানা যায়, দেশ ব্যাপী ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় নারায়ণগঞ্জ ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে এসে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভে এজাহানামা আসামী আওয়ামী লীগের সাবেক এম পি শামীম ওসমান ও তার শ্যালক নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সাবেক সভাপতি ১২নং আসামী তানভির আহম্মেদ টিটু’র নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বাহিনী এস.এম. রানা ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ, পিস্তল, রাইফেল ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বহর নিয়ে গুলি বর্ষণ করতে থাকে।
এছাড়া আরোও উল্লেখ্য রয়েছে, ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় বাদীর ছেলে বাসায় যাওয়ার সময় এজহার নামক আসামীসহ তাদের সহযোগীরা গুলি চালায় বাদীর ছেলে বুকে গুলিবৃদ্ধ হয়ে গুরুত্বর আহত অবস্থায় আশপাশের লোকজন তাকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত২২ জুলাই তিনি মৃত্যুবরণ করে। ভিডিও ফুটেজেও এস.এম. রানার সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি দৃশ্যমান রয়েছে।
এছাড়া আসামী এস এম রানা সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। সে এলাকায় অবৈধ ভাবে প্রভাব বিস্তার করে চিহ্নিত আসামী শামীম ওসমান ও তার শ্যালক তানভির আহম্মেদ টিটু-এর ছাত্রছায়ায় থেকে জমি দখল, চাঁদাবাজি, লুটতরাজ, গুম ইত্যাদি বিভিন্ন অপকর্ম করা সহ অত্র মামলার ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থেকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের সময় সে ছাত্র জনতার উপর নির্যাতন নিপীড়ন সহ বোমা বিস্ফোরণ ও গুলি করেছে যা যথেষ্ট সাক্ষ্য, প্রমান পাওয়া যায়। আসামী এস এম রানা ৫ আগস্ট পর থেকে নারায়গঞ্জ শহর ছেড়ে বিভিন্ন স্থানে দীর্ঘ সময় পর্যন্ত আত্মগোপনে ছিল। তথ্য উপাত্ত বিভিন্ন স্থানে পুলিশি গ্রেফতার অভিযান পরিচালনা করে সর্বশেষে তাকে এয়ারপোর্ট এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আত্মগোপনে থেকে কথিত “ক্রিকেট বোড”বিসিবির সভাপতির ফারুক আহমেদ এর ব্যবসায়ীক পাটনার হওয়ায় ধরপাকড়াওর থেকে দূরে থাকে এস এম রানা। বুক ফুলিয়ে যাতায়ত করতেন তার বাড়িতে। এছাড়াও ফারুক আহমেদ এর ছত্র-ছায়ায় কথিত বিএনপির নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়েতুলে বানিয়ে ফেলেন ব্যবসায়ী পাটনার এবং বিভিন্ন এস এম রানার বিরুদ্ধে থাকা লোকদের বিরুদ্ধে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার হত্যা ও বিস্ফোরণ মামলা তেওয়া হয়।