বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে একাধিক হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামী নারায়ণগঞ্জে শীর্ষ সন্ত্রাসীর গডফাদার শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট বন্ধু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন কে জনতার রোষানলের মুখে আটক করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৬শে ফেব্রুয়ারী) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা কোর্ট প্রাঙ্গণ এলাকা থেকে আইনজীবীদের ইউনিফর্ম পরিহিত অবস্থায় দেখে আইনজীবী ও জনতার রোষানল পড়ে এড. ওয়াজেদ আলী খোকন। পরে তিনি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে এড. ওয়াজেদ আলী খোকনকে পুলিশ ঘেরাও করে ফেলে।
সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৫ই আগস্টের পূর্বে দেশব্যাপী
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলে বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ও ছাত্র-জনতার উপর ককটেল বিস্ফোরণ , পিস্তল, রাইফেল ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রের বহর নিয়ে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে নির্বিচারে অসংখ্য সাধারণ নিরিহ মানুষের উপর গুলি বর্ষণ করে এবং শামীম ওসমানের অনুশারীরা সেই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলোপাথারী গুলিবর্ষন করে, এতে অবুঝ শিশুসহ অসখ্য সাধারণ নিরিহ মানুষ আহত-নিহত হয়। পরে অবস্থা দেখে শেখ হাসিনাসহ দলীয় হাইকমান্ড থেকে ধরে শামীম ওসমান সহ অনেক নেতারা পালিয়ে যায়। বিভিন্ন থানায় অসংখ্য মমলার আসামীরা প্রশাসনের চক্ষু আড়ালে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যান শামীম ওসমানের ঘনিষ্ট বন্ধু, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও সাবেক পিপি এড. ওয়াজেদ আলী খোকন এর আটকের বিষয়টি প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, তিনি আদালত প্রঙ্গণে আইনজীবীদের ইউনিফর্ম পড়ে আসে। পরে বিএনপি পস্থি আইনজীবী ও সাধারণ জনতার রোষানল পড়ে৷ এরপর পুলিশ তাকে নিয়ে আসলে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের প্রধান ফটকে আসলে ডিউটিরত প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাকে আটক করতে চাইলে এড. মাসুম সাহেব এতে বাধা সৃষ্টি করে দাড়ান। পরে সেখানকার কর্মরত পুলিশ তাদেরকে বলেন যদি নিতে হয় তাহলে জেলা পুলিশ সুপার এর সাথে আলোচনা করে আপনাদের নিতে হবে। পরে পুলিশ সুপার এর কাছে চলে যান তারা।
এসময় মহামান্য হাইকোর্টএ জামিনে থাকলে পুলিশ গ্রেফতার করবেনা বলে কথাবার্ত বলতে শোনা যায় পুলিশ ও এড. মাহাবুবুর রহমান মাসুম এর সাথে।