ঢাকা যাত্রাবাড়িসহ নারায়ণগঞ্জে অধিকাংশে থানায় ছাত্র-জনতা হত্যা ও উপর ককটেল বিস্ফোরক একাধীক মামলার এজহারভূক্ত আসামী ও ৫ আসনে স্বৈরশাসক এমপি সেলিম ওসমানের দোসর আলীরটেক ইউনিয়ন সাবেক চেয়াম্যান মতি’র ভাই পল্টিবাজ আক্তারুজ্জামান প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে প্রশাসনের নাকের ঢগায়।
ঢাকা যাত্রাবাড়ি ও নারায়ণগঞ্জের অধিকাংশ থানা একাধীক সূত্রে জানা যায়, গত বছর ৫ই আগস্টের পূর্বে দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলে বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের ও ছাত্র-জনতার উপর ককটেল বিস্ফোরণ , পিস্তল, রাইফেল ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রের বহর নিয়ে শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান’র নেতৃত্বে নির্বিচারে অসংখ্য সাধারণ নিরিহ মানুষের উপর গুলি বর্ষণ করে এবং শামীম ওসমানের অনুশারীরা সেই সময় ঐক্যবদ্ধ হয়ে এলোপাথারী গুলিবর্ষন করে, এতে অবুঝ শিশুসহ অসখ্য সাধারণ নিরিহ মানুষ আহত-নিহত হয়। পরে অবস্থা দেখে শেখ হাসিনাসহ দলীয় হাইকমান্ড থেকে ধরে শামীম ওসমান সহ অনেক নেতারা পালিয়ে যায়। বিভিন্ন থানায় অসংখ্য আমলার আসামীরা প্রশাসনের চক্ষু আড়ালে ধরাছোঁয়ার বাইরে চলে যায় চলে যায়। কিন্তু আক্তারুজ্জামান আলীরটেগ তার নিজ বাড়ি ও এলাকায় গাঁ ঢাকা দিয়েছে।
বিগত বছর স্বৈরশাসক আমলে ওসমান পরিবারে মেঝ ছেলে সেলিম ওসমানের হাত ধরে অবৈধভাবে নির্বাচন বিহীনতায় আলীরটেক ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের ক্ষমতা জোড়ে দখল করে এবং ভূমিদস্যুতা মধ্য দিয়ে সাধারণ মানুষের জোড়পূর্বক জায়গা দখল, সরকারী খাসজমি দখল সহ লুটপাট করে বেরিয়েছেন মতি ও তার ভাই আক্তারুজ্জামান। বড় ভাই চেয়ারম্যান ও প্রভাবশালী ওসমান পরিবারে ঘনিষ্ট লোক হওয়ায় আক্তারুজ্জামানের প্রভাবও ছিল উচ্চলেভেলের। সেই সময় বিএনপির নাম কেউ মুখে আনাতো দূরকিবাদ নেতা কর্মীদের ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা দিয়ে তার বলয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতেন দুই ভাই। মতির মূলত পিত্রি পরিচয় মুন্সিগঞ্জে হলেও পরিচয় দিতেন আলীরটেক’র।
আওয়ামী ও ওসমান পরিবারের দোসর হয়েও গত ৫ই আগস্টের পর আলিরটেক ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাকির হোসেনকে অপসারণের দাবিতে শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে আক্তারুজ্জামান। বড় ভাই মতির মত সেই সময় টাকায় ভাড়াটে লোক দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। এবং জাকির চেয়ারম্যানকে অপসারণ করে আক্তারুজ্জামান সে নিজে ইউনিয়নকে তার বড় ভাইয়ের মত দখল করার পায়তারা করেছে। এবং সেি বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধনে বিএনপি নেতা সহ আওয়ামীলীগের পদধারী নেতা গোগনগরের জসিম উদ্দিন সহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধনের পর আক্তারুজ্জামান টাওয়ারে যে ভূড়িভোজ হয়েছিল সেখানে খাবারের অপেক্ষা ছিলেন আওয়ামীলীগ নেতা জসিমউদ্দিন।
বিএনপি দাবীকরা আক্তারুজ্জামান বছেন এক পরিবারে দুইজন দুই দল করতে পারে না। আমি যদি আওয়ামী হয়ে থাকি লিখবেন? এমন কথায় স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলেছেন সে বিএনপি কখনই করেন নাই ভরং তারা দুই ভাই মিলে স্থানীয় বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছে। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী আক্তারুজ্জামনকে দ্রুত্ব গ্রেফতার করবে সেই দাবী জানিয়েছে স্থানীয়রা।