নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে দিগুবাবু বাজারের ব্যবসায়ীরা বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। তাদের অভিযোগ, ওই বিএনপি নেতা বাজারের কয়েকজন মাছ বিক্রেতাকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেছেন।
শনিবার (৮ মার্চ) বিকেলে শহরের অন্যতম পাইকারি ও খুচরা কাচাবাজারে বিক্ষোভ করেন তারা।
মিছিল থেকে তারা বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপুর বিরুদ্ধে চঁাদাবাজির অভিযোগ এনে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
মো. বিল্লাল নামে এ বাজারের এক ব্যবসায়ী বলেন, “তারেক রহমান তাকে (টিপু) চঁাদাবাজি করতে বলেনি। তাহলে তিনি মাছ ব্যবসায়ীদের মারধর করলেন ও তাদের মাছ ফেলে দিয়েছেন। এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। তার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে আমরা মিছিল করছি।”
মারধরের শিকার হওয়া মাছ বিক্রেতা ইয়াসিন বলেন, “বিএনপি নেতা টিপু এসে আমাদের মাছ ফেলে দিয়েছে। এ সময় মাছ তুলতে গেলে তিনি আমাদের মারধর করে। আমার মত আরও অনেক ব্যবসায়ীর মাছ ফেলে দিয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “টিপু আমাদের কাছে চঁাদাবাজি করতে চেয়েছিল। তিনি চঁাদাবাজি করতে না পেরে আমাদের মারধর করেছে ও আমাদের মাছ ফেলে দিয়েছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই।”
প্রত্যক্ষদর্শী এক দোকানি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিএনপি নেতা আবু আল ইউসুফ খান টিপু বিকেলে তার অনুসারী কয়েকজন নেতা-কর্মীকে নিয়ে বাজার পরিদর্শনে আসেন। ওই সময় দিগুবাবুর বাজারের সড়কের উপর বসে মাছ বিক্রি করছিলেন বিক্রেতারা। এই সময় বিএনপি নেতা টিপু তাদের সড়ক দখল করে বসায় ক্ষুব্দ হন এবং সড়ক ছেড়ে যেতে বলেন। এক পর্যায়ে মাছ বিক্রেতাদের সাথে তর্ক হলে তিনি তাদের মাছ ফেলে দেন এবং কয়েকজনকে লাঞ্ছিত করেন।
যদিও যোগাযোগ করা হলে মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু বলেন, “প্রশাসনিকভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে দিগুবাবুর বাজারের সড়কটি খোলা থাকবে, সেখানে কেউ দোকানপাট করতে পারবে না। এই সড়কে বাস চলাচল করবে। কিন্তু কয়েকদিন যাবৎ ওইখানের বাজার কমিটির এক নেতার ছেলে বিল্লাল, মামুন ও বান্টি নামে সন্ত্রাসীগোছের কয়েকজন চঁাদাবাজির জন্য সড়কে মাছ বিক্রেতাদের বসাইছে। আমি তাদের সড়ক ছেড়ে দিতে বলেছি। সড়ক দখল করে মানুষের ভোগান্তি সৃষ্টি করা যাবে না। জনস্বার্থে কথা বলায় চঁাদাবাজরা আমার বিরুদ্ধে মিছিল করিয়েছে।”