বন্দরে ঘুমন্ত অবস্থায় মাদরাসাপড়ুয়া কিশোরীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ ও যৌন নিপীড়নের অভিযোগে পালক পিতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী।
গ্রেপ্তার ওই ব্যক্তি ভুক্তভোগী কিশোরীর পালক পিতা। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর পালক মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা-মা সুনামগঞ্জ জেলার বাসিন্দা। তাদের সাথে ভুক্তভোগীর কোনো যোগাযোগ নেই। এক বছর বয়স থেকে ওই কিশোরীকে লালন-পালন করেন মামলার বাদী। স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়েন ওই কিশোরী। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ভোরে ঘুমন্ত কিশোরীর ‘আপত্তিকর ও অশ্লীল’ ভিডিও মোবাইল ফোনে ধারণ করেন অভিযুক্ত ব্যক্তি। ওইদিন যৌন নিপীড়নেরও শিকার হন ভুক্তভোগী। গত ২ মার্চ সকালে ভুক্তভোগীকে ওই ভিডিও দেখায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং এ বিষয়ে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি দেয়। যদিও সন্ধ্যায় তার মা কর্মস্থল থেকে বাড়িতে ফিরলে তাকে সব জানায়।
আরও জানা যায়, পালক মা বিষয়টি জানার পর স্বামীকে বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে সে বিভিন্নভাবে অনুনয়-বিনয় করলে আইনি প্রক্রিয়ার দিকে আর যায়নি ভুক্তভোগী পরিবারটি। কিন্তু ওই কিশোরী এ বিষয়টি প্রতিবেশী একজন জানালে তার মাধ্যমে আশোপাশের লোকজন জানতে পারেন। পরে গত শনিবার রাতে লোকজন জড়ো হয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মারধর করে পুলিশে দেয়।
অভিযুক্ত পালক পিতা বলেন, ‘আমি অন্যায় করছি। আমার উপর তখন শয়তান ভর করছিল।’
বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম জানান, রোববার রাত সোয়া বারোটার দিকে বন্দর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের দু’টি ধারায় মামলা করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর পালক মা। এর আগে শনিবার রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে মো. শামীমকে (৪০) আটক করে পুলিশে দেয় এলাকাবাসী। মামলার পর তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনের ৪ ধারায় মামলাটি রেকর্ড করা হয়েছে। মামলার পর রোববার দুপুরে আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এবং ভুক্তভোগী কিশোরীর ২২ ধারায় জবানবন্দির জন্য আদালতে পাঠানো হয়েছে।