বুধবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৪:৫৮ পূর্বাহ্ন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) নারায়ণগঞ্জ সদর থানার উদ্যোগে আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১৪ মার্চ) ১৩ রমজান সৈয়দপুর উচ্চ বিদ্যালয় অডিটোরিয়ামে আলোচনা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক আনিসুল ইসলাম সানি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সানি বলেন, আমি যেহেতু জাসাস’র দায়িত্বে রয়েছি তাই জাসাস এর কথা বলবো৷ জাসাসে কোন ধরণের বিখাউজ, চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজদের জায়গা হয়নি আর হবেও না। এই গোগনগর ও আলীরটেক ইউনিয়নে অনেক লোক রয়েছে যাদের কোন পদ-পদবী না থাকায় কারনে রাগ-অভিমান করে ঘরে বসে রয়েছেন। গোগনগরের সাথে আমার একটা সম্পর্ক রয়েছে। ১৯৯১ সালে কমান্ডার সিরাজ সাহেবকে নিয়ে এই গোগনগরে নির্বাচন থেকে সব সময় আপনাদের পাশে ছিলাম। কখনও কমান্ডার সিরাজ কখনও এড. আবুল কালাম সাহেবকে নিয়ে। গোগনগর ইউনিয়ন এমন একটি জায়গা আসলে তাদের কোন স্থায়ী বসতী নেই! কখনও ৪ আসন কখনও ৫ আসন! এখানে আপনাদের সাথে আমার আত্মার সম্পর্ক, কদমতলী ও শহীদনগর ব্রিজটা আমি করে দিয়েছি।
তিনি আরোও বলেন, জাসাসের অনেকেই ছিল আজ তারা বেঁচে নেই, তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। আজকে যে সমস্ত বিএনপির নেতা কর্মীরা রয়েছে তাদের বাড়ির কাজের বুয়ারাও পদ-পদবী পায়। আসলে ত্যাগী নেতা কর্মীরা সুযোগ পায় না। যেহেতু জাসাসে সুযোগ রয়েছে তাই আমি জাসাসের নেতা-কর্মীদেরকে বলব আপনারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের রাগ ভাঙ্গাবেন যদি আপনারা না পারেন আমাকে বলবেন আমি জাসাসের পতাকা তলে নিয়ে আসব এবং তাদের পদ-পদবীর সুযোগ করে দিব। জিয়াউর রহমানের সৈনিকেরা হারিয়ে যেতে পারেনা। তবে লক্ষ রাখবেন অন্য কোন দলের লোক যেন প্রবেশ করতে না পারে এবং কোন বিখাউজ, চাঁদাবাজ, ধান্দাবাজদের জায়গা জাসাসে দিব না।
মহানগর জাসাস সভাপতি স্বপন চৌধূরী বলেন, যারা জাসাস করেন কেনো আমরা সৌভাগ্যবান জানতে হবে।
আমরা একারনেই সৌভাগ্যবান যে বিএনপির সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল ও শ্রমিকদল সহ নয়টা অঙ্গসংগঠনের মধ্যে আমাদেরটা চতুর্থ। আমরা এজন্যই ভাগ্যবান৷ জাসাস এর যিনি কর্ণধার সারা বাংলাদেশের মধ্যে তিন জনের মধ্য একজন হলেন আমাদের আনিসুল ইসলাম সানি ভাই। আমাদের এ সৌভাগ্যটাকে কাজে লাগিয়ে সানি ভাইয়ের হাতকে আরোও শক্তিশালী করব। স্টেজে বসা এড. সরকার হুমায়ন কবীর ভাইয়ের কাছ থেকে আমি রাজনৈতিক শিখে চলে গেলাম যুবদলে। ১৯৮৬ সাল থেকে ১৯৮৭ এর শেষের দিকে সানির ভাইয়ের ছাতার নিচে জাসাসের রাজনীতি করি। জাসাস করে আমি অর্থনীতি ছাড়া অনেক কিছুই পেয়েছি। কারন আমার নেতাইতো কামায় না। আমার নেতা চিন্তা করে জনগণ, সমাজ ও দেশের এবং এই ক্লিন রাজনীতি শিখেছি সানি ভাইয়ের কাছে। জাসাস যারা করে তারা সবাই স্মার্ট।
এতে সদর থানা জাসাস এর সভাপতি কবির সিকদার এর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোহাম্মদ মাসুম এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ন কবীর, জেলা জাসাস সভাপতি সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, সেক্রেটারী মাহবুব মোল্লা, মহানগর জাসাস সভাপতি স্বপন চৌধূরী, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম স্বাধীন, সদর থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল ইসলাম সরদার, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আক্তার হোসেন, সেক্রেটারী জাহাঙ্গীর হোসেন মিয়াজী, ডা. এম এ লতিফ, মুক্তার হোসেন, আলমগীর হোসেন রানা, এ কে এম আনোয়ার হোসেন সুমন, আবুল কাসেম, আলীরটেক ইউনিয়ন জাসাস সভাপতি দিদার হোসেন, ইয়ার হোসেন মোল্লা আকরাম হোসেন সাগর প্রমুখ।
এছাড়াও আয়োজকদের মধ্যে অভ্যর্থনায় ছিলেন, গোগনগর ইউনিয়ন জাসাস সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ সিকদার, জামান সরদার, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মোতালিব ও আক্তার হোসেন।
