নারায়ণগঞ্জ সদর থানা করা ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলে বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ , পিস্তল, রাইফেল ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রের বহর নিয়ে গুলি বর্ষণ সহ বদিউজ্জামান নামক এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে আবুল হাশেম ও রোমান মাতব্বরকে গ্রেফতার করেছে সদর মডেল থানার পুলিশ।
সোমবার ( ১২ মার্চ) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ রোমান মাতব্বকে ও আবুল হাসেমকে গ্রেফতার করা হয়।
বদিউজ্জামানকে হত্যার দায়ে করা মামলার অভিযুক্তরা হলেন, সোনারগাঁও থানাধীন চর হোগলা আনছার আলী প্রধানের বাড়ীর মৃত আনছার আলী পাঠানের ছেলে
মোঃ আবুল হোসেন ② আবুল হাশেম (৬৫), ফতুল্লা পোষ্ট অফিস, স্টেশন রোড এলাকার সাইদুর মিয়ার বাড়ী এ/পি পটুয়াখালী কলাপাড়া থানা ছোট বানিয়াতলী, ২নং ওয়ার্ডের মোঃ শহিদুল মাতুব্বরের ছেলে মোঃ রোমান মাতুব্বর (৩৯)।
শ্রমিকলীগের কেন্দ্রী নেতা কাউছার আগম্মেদ পলাশের ঘনিষ্ট লোক রোমান মাতব্বর।
সদর মডেল থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়,বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষে এবং সরকারের বিরুদ্ধে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির একটি মিছিলে অংশ গ্রহন করে খাঁনপুর ডন চেম্বার এলাকা হইতে চাষাড়া মোড় কেন্দ্রিয় শহীদ মিনারের সামনে পৌছা মাত্র আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংঘঠনের দুষ্কৃতিকারীরা মিছিলের পিছনে থাকা বদিউজ্জামানকে এলোপাথারী পিটাইয়া গুরুত্বর আহত করে। গুরুত্বর আহত বদিউজ্জামানকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নিলে সে মৃত্যু বরণ করেন। এছাড়া আসামী এসস এম রানা ফ্যাসিস্ট আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসী বাহিনীর সক্রিয় সদস্য ও অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী।
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানা সূত্রে আরোও জানা যায়, দেশ ব্যাপী ছাত্র জনতার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন অবস্থায় নারায়ণগঞ্জে ছাত্র জনতা রাজপথে নেমে এসে শান্তিপূর্ণভাবে বিক্ষোভ করে। এজাহানামা আসামী আওয়ামী লীগের সাবেক এম পি শামীম ওসমান, ছেলে অয়ন ওসমান ও ভাতীজা আজমেরী ওসমানের সহ কাউসার আহম্মেদ পলাশের নেতৃত্বে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকারের পক্ষ নিয়া রাস্তায় অস্ত্র হাতে প্রকাশ্যে মহড়া দিয়েছে। চিহ্নিত সন্ত্রাসী আবুল হাশেম ও রোমান মাতব্বর ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে বিক্ষোভকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর ককটেল বিস্ফোরণ, পিস্তল, রাইফেল ও বিভিন্ন অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে গুলি বর্ষণ করতে থাকে এবং তাহার সহযোগীরা হাতে আগ্নেয়াস্ত্র, লাঠি সোটা, ইট, লোহার রড ইত্যাদি নিয়া জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। ককটেল বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে মানুষের জানমালের ক্ষয়ক্ষতি করে এছাড়া বদিউজ্জামান নামক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে। গুরুত্বর আহত বদিউজ্জামান ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে মৃত্যু বরণ করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার মডেল থানা পরিদর্শক (তদন্ত) কর্মকর্ত মো. জামাল উদ্দিন জানান, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বদিউজ্জামান নামক একব্যক্তি নিহতের ঘটনায় আবুল হাসেম ও রোমান মাতাব্বরকে আটক করা হয়। এতে চাঁনমারী এলাকা থেকে পুলিশের উপস্থিতি টেরপেয়ে রোমান মাতাব্বর পালিয়ে যাওয়ার চেষ্ঠা কালে তাকে আটক করা হয়। সে একজন আওয়ামী নেতা কাউসার আহম্মেদ পলাশের ঘনিষ্ঠ অনুশারী। পাশা-পাশি মুন্সিগঞ্জ থেকে আবুল হাসেমকে আটক করা হয়। আগামীকাল তাদের দুজনকে সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড চেয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেয়ণ করা হবে।