1. [email protected] : admin :
  2. [email protected] : Narayanaganj Press : Narayanaganj Press
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ১২:১৫ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ আপডেট
বাদী রঞ্জন কুমার রায় সুমন নিজেই হামলায় উপস্থিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সোনারগাঁ শ্রমিক দলের গণসংযোগ হাসিনার প্রেতাত্মারা এখনও ষড়যন্ত্র করছে: কাজী মনির বাবাকে হাতুড়িপেটা করে হত্যার ঘটনায় ছেলে গ্রেফতার প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতায় লাগাম টানতে হবে : বদিউল আলম মজুমদার ১৯ জুলাইয়ের সশস্ত্র হামলা: নতুন চিত্রে উঠে এলো শামীম ওসমান বাহিনীর চাঞ্চল্যকর তথ্য ফতুল্লা রামারবাগের শীর্ষ মাদক সম্রাট, ঝুট সন্ত্রাসী সোহেল গ্রেফতার। সিদ্ধিরগঞ্জ রেবতী মোহন পাইলট স্কুল এন্ড কলেজে এইচ.এস.সি পরীক্ষার্থীদের বিদায়ী সংবর্ধনা বন্দরে সংঘর্ষ ও হতাহতের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন খেলাফত মজলিসের ২০ নং ওয়ার্ডে খেলাফত মজলিসের দায়িত্বশীল বৈঠক অনুষ্ঠিত

হাত-পা বেধে রাতভর নির্যাতন, জোড় করে দ্রব্য মদ খাওয়ানোর পর গুলি করে বাবু-নিহতের বাবা

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১০২ Time View
{"remix_data":[],"remix_entry_point":"challenges","source_tags":[],"origin":"unknown","total_draw_time":0,"total_draw_actions":0,"layers_used":0,"brushes_used":0,"photos_added":0,"total_editor_actions":{},"tools_used":{"transform":1},"is_sticker":false,"edited_since_last_sticker_save":true,"containsFTESticker":false}

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার কাশীপুরে কবুতর নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে হাত-পা বেধে রাতভর নির্যাতন, জোড় করে মাদক দ্রব্য মদ খাওয়ানোর পর মোঃ পাভেল (৩৩) নামক এক যুবককে গুলি করে পালিয়েছে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অর্থ যোগানদাতা ও মাদক কারবারী রাহান বাবু। এনিয়েএলাকার সর্বস্তরের জনগণের মাঝে একদিকে শোকের ছায়া অপর দিকে ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঘটনায় জনতা কর্তৃক রয়েল নামেক এক ব্যক্তিকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

 

 

 

গত সোমবার (৩১শে মার্চ) ঈদের দিন সকাল সাড়ে ৭ টার দিকে কাশীপুর ইউনিয়ন এলাকায় সম্রাট হল সংলগ্ন মাদক ব্যবসায়ী রায়হান বাবুর বাড়ির গেইটের সামনে থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাভেলকে ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগের নিয়ে যাওয়া হয়।

 

 

 

একই দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন পাভেল। গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন নিহতের স্বজন ও ফতুল্লা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

 

 

ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরীফুল ইসলাম জানান, ভোর ৪টার ঘটনা, তখন পাভেল নামের ওই যুবক রাস্তায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পড়েছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে ৩টায় মারা যায় পাভেল।

 

 

নিহত পাভেল (৩৩) ফতুল্লা কাশীপুর মধ্যপাড়া এলিফেন্ড রোড এলাকার হাসমত উল্লাহর ছেলে।

এঘটনা নিহতের পরিবার বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটা হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

 

 

গুলিবিদ্ধ পাভেলের বড় ভাই মাসুম জানান, আমার ভাই পাভেল এবং পাশের এলাকার বাবু ওরফে ‘কবুতর বাবু’ সঙ্গে গতরাতে কবুতর নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এ ঘটনার জের ধরে কবুতর বাবু আমার ছোট ভাইয়ের বুকে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে আমার ভাইকে উদ্ধার করে প্রথমে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঐদিন সকালে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু মৃত্যুবরণ করেন পাভেল। মৃত্যুর আগে আমার কাছে পাভেল সমস্ত ঘটনা বলে গেছেন এবং কে কে ছিলেন কিভাবে গুলি করা হয়েছে।

 

 

পাভেল এর ভাই রুবেল জানান, সেলুনে চুল কাটাতে গিয়েছিল। চাঁদরাতে আমাকে আমার ভাইকে ফোন দিয়েছিলো কিন্তু রিসিভ করতে পারি নাই। পরে ফোন ব্যাক করি কিন্তু রিসিভ করে নাই। আমরা মনে করেছি বন্ধুদের সাথে আড্ডা করছে তাই তেমন গুরুত্ব দেই নাই।

 

 

জানাযা শেষে নিহতের বাবা হাসমত উল্লাহর বলেন, আমার ছেলেকে রাতভর নির্যাতণ করেছে সন্ত্রাসী বাবু। গুলি করার আগে ছেলেকে মদ খাওয়ানো হয়েছে। আমি এর সর্বোচ্চ বিচার চাই। এসময় ছেলের লাশ বাবার কাধে মেনে নিতে না পেড়ে বারবার নিহতের বাবা অজ্ঞান হয়ে পড়ে।

 

 

কাশীপুর ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি রতন বলেন, মতিন মিয়ার ছেলে রায়হান বাবু ছোট বেলা থেকেই মাদক সন্ত্রাসের সাথে জড়িত। আমরা প্রশাসনকে বার বার বলেছি কাশীপুরে মাদকের উপদ্রব বেড়েছে। তারা যদি আগ থেকে অভিযান বা মাদক নিয়ন্ত্রনে কাজ করতেন তাহলে আজ পাভেল বেচে থাকতো।

 

 

ওয়ার্ড বিএনপির জামাল ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি জুম্মান বলেন, যে পাভেলকে মেরেছে সে তাতী বাড়ির মতিন মিয়ার ছেলে রায়হান বাবু, বাবুর অপকর্মের কোন প্রকার প্রতিবাদ করলেই দেশিয় অস্ত্র ও পিস্তল নিয়ে তেরে আসেন। তাই ভয়ে কেউ সাহস পেতো না কিছু বলতে। বাবুর বাড়িতে টর্চার সেল গড়ে তুলেছে৷ সেখান থেকে গুলি, সুইচ গিয়ার চাকু পুলিশ উদ্ধার করেছে এবং সেই বাড়িতে মাদক সেবন সহ অনেক কিছুর আলামত রয়েছে। এঘটনার সসম্পূর্ণ সাক্ষী রয়েলকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সব গডফাদার সহ জড়িতরা বের হয়ে আসবে।

 

 

স্খানীয়রা জানান, রায়হান বাবু সে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের পৃষ্ঠপোষক ছিল। বাবু ইউনিয়ন ছাত্রলীগকে অর্থ, অস্ত্র ও মাদক দিয়ে চালিয়ে রাখতেন। ছাত্রলীগের সাথে গভীর সম্পর্ক থাকায় স্থানীরা কেউ প্রতিবাদ করতে সাহস পেতনা। ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ মহাসড়কের গাড়ি আটকিয়ে চাঁদা, লোহার রড এবং যে খানে বাবুর চোখ পরতেন সেখানেই বাবুসহ তার বাহীনি হামলা দিতেন এবং সাধারণ মানুষ চাঁদা দিতে বাধ্য হতেন। এছাড়া এলাকা সহ আশেপাশের যুবক ছেলেদের প্রলভোন দেখিয়ে মাদক ও অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত করতেন। কেউ না আসলে বাবুর বাড়িতে গড়ে ওঠা টর্চারসেল এ নিয়ে নির্যাতণ করা হতো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© ২০২৩ | সকল স্বত্ব  নারায়ণগঞ্জ প্রেস কর্তৃক সংরক্ষিত
Designed by RIAZUL