নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেন, পৃথিবীর ইতিহাসে অনেক দেশে স্বৈরশাসকের পতন হয়েছে। যারা শিক্ষক ও মসজিদের ইমাম চরিত্রকে ধ্বংশ করে অপরাধের স্বর্গরাজ্য কায়েম করেছে এবং শেখ হাসিনার স্বার্থের জন্য বহু অপকর্ম করে তারা সহ সবাই পালিয়েছে। আমরা কিন্তু ভোটের মাধ্যমে তাকে পরাজিত করে ক্ষমতাচ্যুত করি নাই। সে প্রাণভরে জনগণের রোষানলে পরে পালিয়ে গেছে। এই দোষটা কার?
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে উত্তর নরসিংপুর এলাকায়
ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন,সে এত গর্ব করে বলতো আমার বাপের দেশ যা ইচ্ছে তাই করব। তার সাথে মন্ত্রী এমপিরা যারা ছিলেন তারা গডফাদার তৈরি করেছেন। আমরা এক সময় পরিবারের সাথে ঈদ পালন করতে পারি নাই। আজ দেখেন তারা ঈদের মাঠে যেতে পারে না।
বেগম খালেদা জিয়াকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছে। শেখ হাসিনাকে কিন্তু কেউ বাড়ি থেকে বের করে দেয়নি! সে নিজেই দেশ ছাড়া হয়েছে। এটা আল্লাহর বিচার। শেখ হাসিনা পালিয়ে গেল মন্ত্রী, এমপি ও নেতা কর্মীদের বিপদে রেখে গেলেন। শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার আগে শেখ পরিবারের একজনকেও সে রেখে যায়নি। সে নিজের স্বার্থ বোঝে অন্যের স্বার্থ বোঝে না।
সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন আরোও বলেন, আপনাদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলাম। সে সময় শামীম ওসমান পালিয়ে গেছে স্বপরিবারে কিন্তু তার সঙ্গী সাথীদের নেয়নি। আমাদের মানবিক গুনাবলি আছে বলেই তাদের কোন কষ্ট দেইনি। তারা ঠিকই মামলা মোকদ্দমা দিয়েছে। নারায়ণগঞ্জের গড ফাদার বলেছিল মাটির নিচে ২০ গজ লুকিয়ে থাকলেও নাকি বের করবে! কতইনা হুমকী দিয়েছে। সে ২বার পালিয়েছে। ১৭ বছর আমরা পালিয়ে যাই নাই। আমরা আত্মগোপনে থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করেছি। দেশের মানুষের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করিনাই। তাই ৭১ সাল ও ২৪ সালেও যুদ্ধ করেছি। তাদের অর্থের অভাব নেই। সেই অর্থ দিয়ে দেশে জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। তারেক রহমান বলেছে আমরা যেন রাজপথ না ছাড়ি।
কাশীপুর ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি কামাল হোসেন বেপারীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা থানা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সুলতান মাহমুদ মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক এড. বারী ভূঁইয়া, যুগ্ম-সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার আক্তার হোসেন, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি মাজেদুল ইসলাম, সহ-সভাপতি জিএম সাদরিল, ফতুল্লা থানা বিএনপির সহ-সভাপতি আলাউদ্দিন খন্দকার শিপন, লোকমান হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আক্তার খন্দকার, সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান আলী, ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাসান মাহমুদ পলাশ, সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন, কাশিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঈনুল হোসেন রতন, সাধারণ সম্পাদক আরিফ মন্ডল, ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব রাসেল মাহমুদ, হাবিব বেপারী সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।