গুলিবিদ্ধ কর্মীর বাড়ির পাশে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকেও গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হৃদয়কে দেখতে গেলেন না নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক সাংসদ মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন।লিডার খোঁজখবর নানেয়ায় অশ্রু জড়ালেন আহত কর্মী হৃদয়।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সকালে উত্তর নরসিংপুর এলাকায়
ফতুল্লার কাশীপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের আয়োজনে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন। তার এক ঘনিষ্ঠ কর্মী (হৃদয়) গুলিবিদ্ধ হয়ে অন্ধত্ব বরণ করে পথে পথে হাঁটছে। কিন্তু পাশের বাড়িতে সমাবেশ করে গেলেও হৃদয়ের খোজখবর নিলেন না তিনি। এমনকি অনুষ্ঠানস্থলে গুরুতর আহত হৃদয়ের নামটা পর্যন্ত উচ্চারণও করেন নাই কেউ। এমনটাই আক্ষেপ নিয়ে বললেন বিএনপির কর্মী হৃদয়।
এবিষয়ে কাশীপুর ৩নং ওয়ার্ড বিএনপি কর্মী হৃদয় বলেন, আমি ওয়ার্ডের সভাপতি কামাল হোসেন বেপারী সাথে রাজনীতি করি। বিগত দিনে আন্দোলন সংগ্রামে তার সাথেই ছিলাম। জুলাই-আগস্টে বৈষম্য বিরোধী ও একদফা ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সব সময় মাঠে ছিলাম। সরকার পতনের একদফা আন্দোলনে ৪ই আগস্টে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন এর নির্দেশে কামাল হোসেন বেপারীর নেতৃত্বে আমরা ঝালকুড়ি এলাকায় অবস্থানের উদ্দেশ্যে রওনা হই। নতুন কোর্ট এলাকা সংলগ্নে পৌছানো মাত্রই গুলিবর্ষণ করেন আওয়ামী লীগ ও প্রশাসনের লোকজন। সেখানেই আমি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়ি এবং আহত অবস্থা আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
বিএনপির এই কর্মী আরোও জানান, পরে আমি কিছুটা সুস্থ হলে দেহে গুলি ও ব্যান্ডেজ নিয়ে লিডার মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিন সাহেবের কাছে যাই। এঘটনার বিবরণ দিলেও সেই সময় কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি তিনি। এমনকি আমার বর্তমান অবস্থার কথাও জিজ্ঞাসাও করেন নাই। পরে আমি অনেক নেতার কাছে দৌড়া ঝাপ করেও কোন সহযোগীতা পাইনি। পরে জেলা যুবদল এর সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি ভাই আমার খোজ খবর নেন এবং প্রয়োজনে সুবিধা দিতে আশ্বস্ত করেন। আমার দুর্ভাগ্য শহীদ রাষ্ট্রপতির জিয়াউর রহমান এর আদর্শে ও মেহনতি মানুষের আস্থার দল বিএনপি অথচ সেই দলের নেতারাই আজ তাদের আহত কর্মীদের খবর নেননা। সেই দিন কি গিয়াস সাহেবের নির্দেশ পালন করা কি আমার ভুল ছিল? তাকে অনুসরণ করা কি আমার ভুল ছিল? আমার চিকিৎসা ব্যয়বহুল, আমার ডান চোখ অন্ধের পথে চলে যাচ্ছে। আমার পরিবারের উপার্জন বলতে ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা চালিয়ে পরিবারের আহার যোগাতাম। সেই আমি নির্দেশ পালন করতে গিয়ে উন্নত কোন চিকিৎসার খরচ বহন করতে পারছি না এবং দুটি সন্তানের মুখে ঠিক মত আহার যোগাতে পারছিনা। তাই আগামী দিনের রাষ্ট্রনায়ক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব আমার প্রতি সহানুভূতি দেখালে অন্তত আমার চোখটা ফেরত পাবো।