নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির মধ্যে আওয়ামী দোসরদের প্রবেশ করানোর ষড়যন্ত্র করেছেন আব্দুর রহমান। কয়েক ফুট দূরত্বে আরেকটি বিএনপির কার্যালয় নির্মাণ করে ইউনিয়ন বিএনপিকে ধ্বংসশের পায়তারা করছে। এমনই অভিযোগ উঠেছে আলীরটেক ইউপি নৌকার চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এর নির্দেশে ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি আব্দুর রহমানের বিরুদ্ধে। ২০২৪ এর জুলাই বিপ্লবের ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় ষড়যন্ত্রের বলি হয়েছেন বিএনপি নেতারা, জাকির চেয়ারম্যানের হুকুম তামিল না করায় ইউনিয়ন-ওয়ার্ড বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার তথ্য ফাঁস করলেন প্রতিবাদি বিএনপির নেতারা।
আলীরটেক ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির নেতারা ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে বাধা বিপন্ন হচ্ছি। ৪০ বছর রাজনীতির জীবনে হামলা মামলা হয়রানির শিকার হয়েছি। বিগত স্বৈরশাসকের আমলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এর শাহাদাৎ বার্ষিকী সহ দলের নির্দেশে সকল কর্মসূচী ইউনিয়নে পালন করেছি। কিন্তু অন্য কেউ তাও করতে পারেনাই। নতুন নৌকার চেয়ারম্যান আওয়ামী দোসর ইউনিয়ন বিএনপিকে ধ্বংশ করার পরিকল্লনা বাস্তবায়নের মিশনে নেমেছে।
ইউনিয়ন জাসাস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমরা ছাত্রজীবনে ১৯৮৮ সাল থেকে সাবেক এমপি সিয়াস উদ্দিন, এমপি কালাম ও কমান্ডার সিরাজ সাহেবের নির্দেশে রাজনীতি করেছে। এ ইউনিয়নে খোরশেদ ভাই সুন্দর ভাবে বিএনপিকে চালিয়েছেন। বর্তমানে ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন এর সাথে তাল মিলিয়ে নির্বাচনের সময় নৌকার প্রতীকে ভোট চেয়েছে যা আমাদের কাছে প্রমান রয়েছে। এমনকি আওয়ামী লীগের শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার জন্মদিনের কেক কাটা সহ সকল অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে তা পালন করেছে। সে বিএনপির সভাপতি হয়ে নৌকার জন্য কি করে ভোট চায়। তাই তার পেছনে আমরা রাজনীতি করব না। এক সময় নৌকার চেয়ারম্যান প্রাথী জাকির হোসেন এর নির্দেশে আমির ভূঁইয়ার বাড়িতে মাইক লাগিয়ে শেখ মুজিবর রহমান ও শেখ হাসিনা সহ নৌকার গুণগান বাজিয়েছে, এর সমর্থন দিয়েছে রতন মাদবর। তাদের ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি বানাতে মরিয়া হয়ে পড়েছে আব্দুর রহমান। বিএনপির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন এই ইউনিয়নে যাকে আমি সভাপতি বা নেতা বানাব সেই বিএনপি করতে পারবে। কেউ কিছু বলতে পারবেনা।
আমরা বিএনপি করি, জুলাই বিপ্লবের ছাত্র-জনতা হত্যা মামলায় আমরা আসামী হলাম যে ভাবে সেই রহস্য উল্লেখ করে জাসাস এর সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আক্তার হোসেন বলেন, আমাদের কাছে ৪ জন রানিং মেম্বার পাঠিয়েছেন জাকির চেয়ারম্যান। চার হাজার লোককে খাওয়ানো পরে জাকির চেয়ারম্যান সহ আলীরটেক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতারা জুলাই বিপ্লবের ছাত্র-জনতা হত্যার আসামী কে বা কারা করেছে তা নিয়ে আলোচনা করবে এবং সেই মামলা থেকে কিভাবে অব্যাহতি পাওয়া যাবে সেই বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে এবং সেই খানে বিএনপির ব্যানার থাকবে। কিন্তু আমরা তাদের প্রস্তাবটা প্রত্যাখ্যান করি এই কারনে যে, যেখানে আওয়ামী লীগের লোকজন থাকবে এবং তাদের বিএনপিতে পুর্নবাসন করবে। জাকির চেয়ারম্যান নির্দেশ না মানায় ৩য় মাধ্যমে আমাদের বিরুদ্ধ মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ডের বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি আঃ সালাম পাঠান বলেন, আমাদের ইউনিয়নে বিএনপির কার্যালয় থাকার পরও একই স্থানে আরেকটা পার্টি অফিস স্থাপন করছে। আব্দুর রহমান আমাকে বলেছে থানায় গিয়ে ছাত্রলীগ নেতার জন্য সুপারিশ করে ছাড়িয়ে আনতে। এই আব্দুর রহমান জাকির চেয়ারম্যানের কাছ থেকে মাসিক বেতন পায়। জাকির চেয়ারম্যান যা বলে বিএনপির সভাপতি তাই শুনে। জাকির চেয়ারম্যের নির্দেশে আব্দুর রহমান ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের দোসরদের বিএনপিতে প্রবেশ করিয়ে প্রতিষ্ঠিত করার পায়তারা চালাচ্ছে।