নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় পাভেল নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা দায়ে প্রধান আসামি অস্ত্রবাজ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী বাবু’কে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার ( ১৮ এপ্রিল) দুপুরে বরিশাল সদর থানাধীন কাশীপুর এলাকায় খেকে নারায়ণগঞ্জ সদর কোম্পানি র্যাব-১১ ও বরিশাল সদর কোম্পানি র্যাব-৮ এর নিজস্ব গোয়েন্দা নজরদারি ও যৌথ আভিযানে অস্ত্রবাজ শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী মায়সার আহমেদ বাবুকে গ্রেফতার করা হয়।
১৮ দিনের মধ্যে র্যাব কর্তৃক হত্যা মামলার গ্রেফপ্তারকৃত আসামী হলেন, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাশীপুর মধ্যমপাড়া এলাকার মৃত ফিরোজ আহমেদ মতিন মিয়ার ছেলে মায়সার আহমেদ বাবু (২৯)।
বন্দর নবীগঞ্জ উত্তর পার্ট (ঘাট সংলগ্ন) এলাকার জুয়েল মিয়ার ছেলে আসামী জুবায়ের আহমেদ (২৮)কে ১৭ এপ্রিল সন্ধ্যায় সিদ্ধিরগঞ্জ থানাধীন বটতলা এলাকায় থেকে গ্রেফতার করে র্যাব-১১।
গ্রেফতারের তথ্যটি নিশ্চিত করেছে র্যব- ১১ প্রেস মিডিয়া।
র্যাব-১১ প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরোও জানা যায়, ফতুল্লায় কাশীপুর এলাকায় তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাগবিতন্ডার জেরে পাভেল (৩০) নামের এক যুবককে গুলি করে হত্যা করা হয়। গত ৩১ মার্চ সোমবার ঈদুল ফিতর দিন ভোরে ফতুল্লার পঞ্চবটি-মুক্তারপুর রোডের কাশিপুর এলাকার লায়ন চক্ষু হাসপাতালের পাশে এ ঘটনা ঘটে। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল ৩টার দিকে তিনি মারা যান। নিহত পাভেল (৩০) ফতুল্লার কাশিপুর মধ্যপাড়ার হাসমত উল্লাহর ছেলে। গত৩০ মার্চ রবিবার সন্ধ্যায় ইফতারের পর চুল কাটানোর জন্য বের হন পাভেল। পরে রাত ১০টার দিকে পাভেলের বড় ভাই রুবেলের মোবাইলে একটি কল আসে। কিন্তু কেউ কথা না বলে কলটি কেটে দেন। পরদিন ভোর ৬টার দিকে ভিকটিমের খালাতো ভাই মোঃ রিফাত ফজরের নামাজ পড়ার জন্য মসজিদে যাচ্ছিলেন। এসময় তিনি ভিকটিমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ভিকটিমের বড় ভাই মোঃ মাসুমসহ এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে নারায়ণগঞ্জের ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন। সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় বিকাল ৩ টায় কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম পাভেল (৩০)’কে মৃত ঘোষনা করেন। এই ঘটনায় নিহতের মা নূরী বেগম (৬৭) বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এখানে আরোও উল্লেখ্য করেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামি মায়সার আহমেদ বাবু (২৯) পাভেল হত্যার ঘটনায় কথা স্বীকার করেছে। এই নিয়ে নৃশংস এই হত্যার সাথে জড়িত দুইজন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং বাকিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
এখানে আরোও উল্লেখ্য করেন, র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র, মাদক উদ্ধার, চাঞ্চল্যকর হত্যা এবং বিভিন্ন আলোচিত অপরাধীদের গ্রেফতারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। অপরাধীদের দ্রুততম সময়ে গ্রেফতারের মাধ্যমে র্যাব ইতোমধ্যেই জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম হয়েছে। গত ৫ আগষ্ট ২০২৪ হতে অদ্যবধি দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় বিভিন্ন অভিযানে চাঞ্চল্যকর অপরাধী ৬১ জন, আরসা সদস্য-১৫ জন, হত্যা মামলায় ৮৬ জন গ্রেফতার, ধর্ষণ মামলায় ৪৫ জন গ্রেফতার, অস্ত্র সংক্রান্ত মামলায় ৮ জন গ্রেফতারসহ ৮২ টি অস্ত্র, ১২৭৩ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার এবং ২৪৪ জন এর অধিক মাদক কারবারি গ্রেফতারসহ বিপুল পরিমাণ মাদক উদ্ধার করে র্যাব-১১। এছাড়া ৪১ জন অপহরণকারী গ্রেফতারসহ ৩৩ জন ভিকটিম উদ্ধার এবং ছিনতাইকারী ও ডাকাত ৫৩ জন, হেল গলাতক ৩৫ জনসহ অন্যান্য অপরাধী প্রায় ২৫১ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনে র্যাব-১১ জনগণের সুনাম অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।