নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন কাশীপুর ইউনিয়ন মধ্যপাড়া শাহী মসজিদের অর্থ রক্ষায় জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপের দাবি করে দুষ্কৃতিকারী নামধারী মুসল্লিদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে শাহী মসজিদের প্রকৃত মুসল্লিসহ এলাকাবাসী।
বুধবার (২৩শে এপ্রিল) সকালে কাশীপুর ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন শাহী মসজিদ প্রঙ্গণে এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
বিক্ষোভ সমাবেশে শাহী মজিদের নিয়মিত নামাজী মুসল্লীরা জানান, নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে ভূমি অধিগ্রহণ ফলে আমাদের শাহী মসজিদের মিম্বারসহ অনেকাংশ ভাঙ্গা পড়ে যার দরুন সরকারের পক্ষ থেকে ভূমি অধিগ্রহণ এর ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা পাওয়া হয়। এই টাকার উপরে লোভের বশে নামধারী বেনামাজি শকুনদের চোখ পড়ে এবং সরকার থেকে ক্ষতিপূরণ পাওয়া মসজিদের টাকা বিভিন্ন কলা কৌশলে আত্মসাৎ করার পায়তারা চালেচ্ছেন এমনকি এর প্রতিবাদ ও জবাবদিহিতা
করতে গিয়ে মসজিদের ভিতরে অশালীন ও অকথ্য ভাষা ব্যবহার করে হুমকি প্রদান করেন। এছাড়া প্রতিবাদ করায় নিরীহ মুসল্লিদের ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করার সময় প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।
তারা আরোও জানান, যেহেতু আমাদের অত্র এলাকায় একটাই লাল মসজিদ ছিল।এ মসজিদের আয়ের উৎস বলতে গ্রামবাসী ও মুসল্লিরাই দান করে থাকেন। কোন রকমে ইমাম ও মুয়াজ্জিন সাহেবের বেতন ও বিদ্যুৎ বিল দেওয়া হয়। মসজিদ কমিটির ৩ বছর মেয়াদ শেষ হওয়ার কিছুদিন পূর্বে কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। এই সুযোগে মুসল্লি বা এলাকাবাসীর কারো সাথেই পরামর্শ না করে দুষ্কৃতিকারী অর্থলোভী ৫ জন নামধারী মুসল্লি মসজিদের আয়ের উৎস গড়ে তুলতে অনিয়ম মাফিক একটি বাড়ি ক্রয় করার পায়তারা চালাচ্ছে। মসজিদে মানুষ দান করে, আর সেখানে দালালি খরচ সহ বেআইনিভাবে আনুষাঙ্গিক অনেক খরচ দেখাচ্ছেন তারা। এর প্রতিবাদ করায় ২২শে এপ্রিল বাদ আছর মসজিদের ভিতরে গিয়ে নিয়মিত মুসল্লি আফজাল মিয়া সহ অনেককেই প্রাণনাশের হুমকী প্রধান করা হয়েছে। অত্র এলাকায় একটাই লাল শাহী মসজিদ ছিল, এ সমস্ত দুষ্কৃতিকারীদের জন্য ৬ টা মসজিদ হয়েছে। বর্তমানে মসজিদের ভাঙ্গা অংশ নির্মাণ না করে তারা মসজিদের ফান্ড বৃদ্ধির নাম করে ৫ কোটি ৪০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পায়তারা করছে। তাই আমরা জেলা প্রশাসক ও প্রশাসন এর প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
এসময় বক্তব্য রাখেন, শাহী মসজিদের সাবেক সেক্রেটারী বাদল হোসেন, মসজিদের মুতাওয়াল্লি মোঃ শামীম, আতাউর রহমান শামীম, আফজাল মিয়া, ব্যবসায়ী আশাবুদ্দিন, নান্নু মিয়া, নান্টু মিয়া সহ স্থানীয় এলাকাবাসী।