নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলাধীন আলীরটেক ইউনিয়ন জাতীয়তাবাদী জাসাস এর সাংগঠনিক সম্পাদক আক্তার হোসেন প্রতিহিংসার কবলে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জুলাই বিপ্লবে হত্যা মামলায় তার নিতাইগঞ্জ এর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইউনিয়ন, ওয়ার্ড ও শহরের বিএনপি সহ অঙ্গসংগঠনে নেতৃবৃন্দরা।
জাতীয়তাবাদী জাসাস এর নেতা আক্তার হোসেনকে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগের নেতা বানানোর চেষ্টায় নৌকার দোসরদের কর্তৃক ষড়যন্ত্রের শিকার বলে শনিবার (২৬শে এপ্রিল) বিকালে শহরে ডিআইটিস্থ বিএনপির কার্যালয়ে নেতৃবৃন্দরা জাসাস নেতা আক্তার হোসেনের সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তি চেয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিএনপি, জাসাস সহ অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।
জাতীয়তাবাদী জাসাস এর নেতা আক্তার হোসেনকে ষড়যন্ত্র করে আওয়ামী লীগের নেতা বানিয়ে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদ ও প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনে নেতৃবৃন্দরা বলেন, ষড়যন্ত্রের শিকার আক্তার সহ আমরা দীর্ঘবছর যাবত বিএনপির সাথে রাজনীতি করে আসছি। আজকে আমরা আওয়ামী লীগের নৌকার দোসর জাকির হোসেন এর বিরুদ্ধে কথা বলতে গিয়ে মিথ্যা মামলার শিকার হচ্ছি। একসময় নৌকার বিরুদ্ধে থাকায় আমরা ষড়যন্ত্রের বলি হচ্ছি। বিএনপির লোকজনকে প্রশাসন ধরে নিয়ে যায় অথচ আওয়ামী লীগের দোসর নৌকার চেয়ারম্যান প্রকাশ্যে ঘুড়ে বেড়ায় এবং নৌকার চেয়ারম্যান দূরে দাড়িয়ে থেকে আক্তার হোসেনকে তার নিতাইগঞ্জস্থ ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান থেকে গ্রেফতার করা হয় যা আলীরটেক থেকে গ্রেফতার বলে চালানো হয়। আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সহ কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ এ বিষয়ে সুদৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি এবং প্রশাসন মামলা যাচাই বাছাই ছাড়া একজন জাসাস নেতাকে ধরে নিয়ে আসে। জাসাস নেতার মুক্তিতে ৭২ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেওয়া হয়। নতুবা বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক আসবে।
এবিষয়ে প্রতিবাদ সভায় মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুজন মাহমুদ বলেন, ইতিপূর্বে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন মিডিয়াতে দেখেছেন একটি মহল শীর্ষ সন্ত্রাসী শামীম ওসমানকে খুশি করার লক্ষে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ষড়যন্ত্র করে মামলা দিচ্ছে। স্বৈরশাসক এর সময় সকল ষড়যন্ত্রের মধ্যদিয়ে আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী পালন করেছে। এখন সেই বিএনপির নেতাদের মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে যার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। কিছুদিন আগেও মহানগর বিএনপি সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু আলীরটেক গিয়ে শামীম ওসমান, সেলিম ওসমানের ঘনিষ্ট লোক নৌকার চেয়ারম্যান এর প্রশংসা ও মামলা প্রত্যাহার দাবি করেন কি করে? অথচ ওসমান পরিবারের দোসর নৌকার চেয়ারম্যান জাকির এর পক্ষে না যাওয়ায় আজ বিএনপি নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যে নির্দেশ দিয়েছে তার কথার অবাধ্য হয়ে দোসরদের খুশি করছে।
তিনি আরোও বলেন, নারায়ণগঞ্জে খুনি হাসিনার দোসরদের ম্যানেজ করার চেষ্ঠা করা হচ্ছে কিন্তু শহীদ জিয়ার আর্দশের কর্মীরা ম্যানেজ হয়না। নৌকার চেয়ারম্যান জাকির এর টাকা আছে বলে তাকে গ্রেফতার করা হচ্ছেনা। বিএনপিকে ভালোবেসে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষে কর্মীরা আজ দোসরদের পরিচালিত মামলার আসামী হচ্ছে। আসেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা প্রমান সহ দেখে যান। আক্তার সহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে তারা কি করে? আমাদের কাছে সকল প্রমান রয়েছে। তাই বিএনপি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ ও প্রশাসন সহ সকলকে অবগত করছি মামলা তদন্ত করেন। বিএনপির কর্মীদের হয়রানী বন্ধ করুন। আক্তার সহ যারা এমামলায় জড়িত হয়েছে এবং যারা জড়িত করেছে এ দুঃসাহস কোথায় পেলো তারা? দ্রুত আক্তার সহ বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধি সকল মামলা প্রত্যাহার করুন তা নাহলে ৭২ ঘন্টা পর কি হয় তা দেখতে পাবেন।
এসময় বক্তব্য রাখেন, মহানগর বিএনপির সাবেক অর্থ বিষয়ক সম্পাদক সুজন মাহমুদ, সদর থানা জাসাস সহ সভাপতি সেলিম প্রধান, মহানগর যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক দয়াল রিপন, আলীরটেক ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপি সভাপতি শাহাবুদ্দিন পাঠান, সিনিয়র সহ সভাপতি সালাম পাঠান, আলীরটেক ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম, মনির হোসেন, ইউনিয়ন কৃষকদলের শোহরাব উদ্দিন পাঠান প্রমুখ।