যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের সহযোগী ও সাব রেজিষ্ট্রার অফিসের দালাল আফজাল হোসেনের প্রভাব এখনও বহাল রয়েছে বলে একাধীক ভূক্তভূগীর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন স্থানে মিলাদ মাহফিলের নাম করে শামীম ওসমান ও জানে আলম বিপ্লবের নির্দেশ মোতাবেক আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে বলে স্থানীদের গোপন একটি সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গিয়েছে। দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে স্থানী ও নির্যাতিত বিএনপির নেতার্কমীরা।
স্বৈরশাসকের সময় বিগত ১৬ বছর আফজাল হোসেন এর নিয়ন্ত্রনে থাকা ফতুল্লার সাব রেজিষ্ট্রার অফিসারকে এখনও ডান-বাম হাতে রেখে চলেছে রমরমা দুর্নীতির মহা উৎসব।
স্বৈরশাসকের সময় যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োজিত ছিল এই আফজাল হোসেন। আওয়ামী লীগ নেতার প্রভাব খাটিয়ে বীরদর্পে পশ্চিম তল্লায় দাপিয়ে বেড়ান আফজাল হোসেন। এমন কোন কর্মকান্ড নেই যে সে জড়িত না রয়েছেন। যুবলীগ নেতা জানে আলম বিপ্লবের সকল অপকর্মের তথ্য রয়েছে আফজালের কাছে।
তার ছোট ভাই কামাল হোসেন জানে আলম বিপ্লবের ছত্র-ছায়ায় গড়ে তোলেন ফেনসিডিলের রমরমা ব্যবসা। শুধু তাই নয় সাবরেজিষ্ট্রার অফিসে আফজাল দালালি করে গড়ে তোলেন আলিশান বাড়ি। বর্তমানে আফজাল হোসেন বিএনপিতে প্রবেশ করার জন্য বিএনপির বিভিন্ন নেতাদের দ্বারস্থ হচ্ছে বলে সূত্রে জানা যাচ্ছে।
সূত্রে আরোও জানা যায়, বিএনপিতে প্রবেশের জোড় লবিং চালালেও তলে তলে মিলাদের নাম করে আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছে। মূলত আফজাল ও তার ছোট ভাই কামাল হোসেন জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা হত্যা মামলার আসামী, সেই সময় জুলাই-আগস্টের স্বৈরচার সরকার বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার উপর নির্বিচারে গুলি বর্ষণ ও হামলা চালায় প্রকাশ্যে এবং অসংখ্য গাড়ি পুড়িয়ে অসংখ্য বিএনপির নেতাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র মূলক মিথ্যা মামলা দিয়েছেন। তাই আওয়ামী লীগের প্রচার প্রচারণা করার অপরাধে তাদের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে প্রশাসন যেন দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করে, স্থানীয় এলাকাবাসি ও বিএনপির নির্যাতিত নেতৃবৃন্দদের দাবি।